parbattanews

ভারী বর্ষণে প্লাবিত শূণ্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প

টানা ৩দিনের ভারী বর্ষণের কারণে তলিয়ে গেছে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের শূণ্যরেখায় অবস্থিত তুমব্রু কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প।

গত সোমবার থেকে শুরু হয়ে বুধবার(১৯ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত ভারী বর্ষণে ফলে উপর থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে ক্যাম্পটি। এতে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবস্থা মারাত্বক সংকট দেখা দিয়েছে।

শূণ্যরেখার রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, গত ৩ দিনের প্রবল বৃষ্টির কারনে পাহাড়ি ঢলে তুমব্রু কোনারপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পটি পানিতে তলিয়ে গেছে। যার ফলে রোহিঙ্গারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খাবার সংকটের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি নিয়ে ঝুঁকিতে পড়েছে এখানকার রোহিঙ্গারা।

তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গারা উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। পাহাড়ি ঢল এখনো বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বৃষ্টি বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে ।

তিনি আরো জানান, তুমব্রু খালের মিয়ানমার ব্রিজ নির্মাণ করায় সীমান্ত খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে না পেরে বাধাগ্রস্ত হয়ে এ সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে সে মন্তব্য করেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছাড়াও প্লাবিত হয়েছে পড়েছে সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু কোনারপাড়া, পশ্চিম পাড়া, বাজার পাড়া, মধ্যম পাড়াসহ বেশকিছু এলাকা। ফলে ঘরবন্ধি হয়ে পড়েছে সহস্রাধিক পরিবার।

ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, প্রবল বৃষ্টি করনে পাহাড়ি ঢলে শূণ্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পটি তলিয়ে গেছে। এতে বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে।

তিনি বলেন, সীমান্তের তুমব্রু খালে মিয়ানমার ব্রিজ নির্মাণ করে নিচে নেট তৈরী করায় পানি চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়ে তুমব্রু বাজারসহ বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও খাদ্য থেকে শুরু করে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহারে ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

বৃষ্টির পানিতে শূণ্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প প্লাবিত হওয়ার বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি বলেন, মঙ্গলবার ক্যাম্পে পানি উঠলেও বুধবার সকালে খবর নিয়ে জেনেছি পানি নেমে গেছে। এরপরেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে সব সময় খবরা খবর রাখা হচ্ছে। যাতে বড় ধরনের কোন সমস্যার সৃষ্টি না হয়।

বিশুদ্ধ খাবার, পানি ও স্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যাবহারে রোহিঙ্গারা ঝু্ঁকি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানানো বলে জানায়।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৪ আগস্টের পর থেকে তুমব্রু কোনারপাড়া জিরো লাইনে অবস্থান নেয় প্রায় ৫ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা। পরবর্তী সহস্রাধিক রোহিঙ্গা উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে ঢুকে পড়লেও গত ৩ বছর ধরে শূণ্যরেখার খালের কিনারে বসবাস করে আসছে প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গা।

Exit mobile version