parbattanews

ভারুয়াখালী-পিএমখালী সংযোগ সেতু স্থাপনের দাবি

সংযোগ সেতু বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে মতবিনিময় সভা

কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী-পিএমখালী সংযোগ সেতু স্থাপনের দাবিতে ভারুয়াখালী-পিএমখালী সংযোগ সেতু বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ভারুয়াখালী- পিএমখালী খেয়া ঘাট সংলগ্ন স্থানে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।ডাঃ জাফর আলমের সভাপতিত্বে এবং এডঃ শওকত বেলাল ও নুরুল আমিনের যৌথ পরিচালনায় হাজী শফিকুর রহমানের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া মতবিনিময় সভায় উক্ত সংযোগ সড়ক না হওয়ায় জনগণের অব্যাহত দূর্ভোগ ও দূর্দশা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, চেয়ারমেন শফিকুর রহমান শিকদার, সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল হক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দীন, প্রবীণ সাংবাদিক কামাল উদ্দীন রহমান পেয়ারু প্রমুখ।

মহান সংসদে বক্তব্য দেয়ার সময় অত্র আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল উক্ত সংযোগ সড়কটি নির্মাণের দাবি উপস্থাপন করায় বক্তারা এক যোগে সাংসদকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে হাজারো জনতার দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে বলেন, সরকার দেশ জুড়ে যে উন্নয়নের জোয়ার শুরু করেছে সে জোয়ারে যুগের পর যুগ অবহেলার শিকার অত্র ভারুয়াখালী বড় চৌধুরী পাড়া খেয়া ঘাটের সংযোগ সেতুটি নির্মিত হলে উক্ত এলাকার ২০ সহস্রাধিক জনগণ, কৃষক ও জেলেদের অব্যাহত দূর্দশা লাঘবের সাথে সাথে সদর উপজেলা থেকে ভৌগোলিক ভাবে বিচ্ছিন্ন ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ৩০ সহস্রাধিক জনগণ সহজেই সদরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠার সুফল ভোগ করতে পারবে।তখনই পাল্টে যাবে ইউনিয়নের চেহারা।

তারা বলেন, সরকার গ্রামকে শহরে রুপান্তরের যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তা বাস্তবে রুপ দিতে হলে এ সেতুটি নির্মাণ অতি জরুরি। উপস্থিত জনতা এক বাক্যে তাদের এ দুর্দশার চিত্র দেখতে সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কাজলের সরেজমিনে পরিদর্শন কামনা করেন।

তারা বলেন, দাবিকৃত সংযোগ সেতুর স্থলে নদীর উত্তর পাশে ভারুয়াখালী ইউনিয়ন হলেও নদীর দক্ষিণ পাশে ভারুয়াখালী মৌজাভূক্ত প্রায় ২শ একর ধান চাষ ও লবন চাষের জমি রয়েছে ভারুয়াখালী ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মালিকানাধীন। তবে ঐ জমিগুলো ভিন্ন ইউনিয়ন পিএমখালীর সাথে একাকার। যুগযুগ ধরে ঝড় বৃষ্টি, জোয়ার ভাটা এবং ঘুর্নিঝড, জলচ্ছাসের সাথে যুদ্ধ করে খেয়াঘাট পার হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হচ্ছে অত্র ইউনিয়নের কৃষক-জেলেদের। যদি এ সংযোগ সেতুটি নির্মাণে মাননীয় সাংসদ মহোদয় ও সরকার আন্তরিক হয় তাহলে এ বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাধীনতা পরবর্তী অব্যাহত দূর্দশা লাঘব হবে।

অবিলম্বে তারা সরেজমিনে মাননীয় সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের পরিদর্শন কামণা করেন। পরে উপস্থিত জনতাকে আনন্দ দিতে দক্ষিণ চট্রগ্রামের আঞ্চলিক গান সম্রাট নুরুল আলম কুতুবীর কন্ঠে গান পরিবেশিত হয়।

Exit mobile version