parbattanews

ভাল্লুক মারতে গিয়ে মিসফায়ারে দুই ভাইয়ের করুণ মৃত্যু

বাড়িতে ভাল্লুক এসেছিল। সেটিকে হত্যা করতে বন্দুকে গুলি লোড করছিলেন এক ব্যক্তি। পরে দুর্ঘটনাক্রমে মিসফায়ার হলে গুলিতে ওই ব্যক্তির ভাই নিহত হন। আর এই কষ্টে সেই বন্দুকের গুলিতেই আত্মহত্যা করেছেন অপর ভাই।

মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ওরেগনে। মার্কিন পুলিশের বরাত দিয়ে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাল্লুককে হত্যা করতে হাতে নেওয়া বন্দুক থেকে ভুল করে গুলি বের হলে সেটির আঘাতে মারা যান বন্দুক হাতে থাকা ব্যক্তির ভাই। ভাইয়ের এমন মৃত্যুর পর পুলিশের জরুরি সেবা নম্বর ৯১১ তে ফোন করেছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ভাইয়ের মৃত্যুর কষ্টে একই বন্দুকের গুলিতে আহত্মহত্যা করেন তিনি।

স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার সকালে ওরেগন অঙ্গরাজ্যের জোসফাইন কাউন্টির প্রত্যন্ত সানি ভ্যালি এলাকায় ভাল্লুককাণ্ডে দুই ভাইয়ের করুণ এই মৃত্যু হয়। এই এলাকাটি পার্শ্ববর্তী ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ঠিক উত্তর পাশে অবস্থিত। নিহত ওই দুই ভাইয়ের নাম জানা যায়নি।

বিবিসি বলছে, ওরেগন অঙ্গরাজ্যে প্রায় ২৫ হাজার কালো ভাল্লুক বসবাস করে এবং তাদের সাথে যেকোনো ধরনের সংঘর্ষ এড়িয়ে চলতে সেখানকার বাড়ির মালিক ও বাসিন্দাদের প্রতি পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

জোসফাইন কাউন্টির শেরিফের কার্যালয় থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভাইয়ের মৃত্যুর পর ওই ব্যক্তি ৯১১ নম্বরে ফোন করে জানিয়েছিলেন- ভাল্লুককে হত্যা করতে বন্দুকে গুলি লোড করার সময় মিসফায়ার হয় এবং এতে তার ভাই নিহত হন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় ব্যক্তিকেই মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে এবং দু’জনের শরীরেই একটি করে গুলির আঘাতের চিহ্ন ছিল।

এদিকে এই ঘটনার পর স্থানীয় শেরিফের কার্যালয় এবং ওরেগন অঙ্গরাজ্যের পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া বেশ কয়েকটি আলামতও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে নেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান হারে বন্দুকের মালিক হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে এবং এরই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনিচ্ছাকৃতভাবে চালানো গুলিতে হতাহতের সংখ্যাও।

এডুকেশনাল ফান্ড টু স্টপ গান ভায়োলেন্স নামক একটি সংস্থার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অনিচ্ছাকৃতভাবে চালানো গুলিতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর প্রায় ৫০০ মানুষ প্রাণ হারিয়ে থাকেন।

Exit mobile version