parbattanews

ভাসানচরের উদ্দেশ্যে উখিয়া ছেড়েছে আরও ১২৮৮ রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের উখিয়ার শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক আরও ১২৮৮ জন রোহিঙ্গাকে বহনকারী ২৮ বাস নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। প্রথম পর্যায়ে রবিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে চট্রগ্রামে রওনা হন ৭১৮ জন, পরে (দ্বিতীয় পর্যায়ে) বিকেল সাড়ে ৫টায় আরও ৫৭০ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশ্যে উখিয়া ছেড়েছেন । এর আগে সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তার মাধ্যমে রোহিঙ্গারা উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আসতে থাকেন। ১০ দফায় এবার প্রায় ১৩’শ রোহিঙ্গা ভাসানচরে পাঠানো হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ সামছু-দৌজা জানান, এবার ১২৮৮ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে উদ্দেশে চট্রগ্রামে রওনা করেছে। সোমবার দুপুরে ওই দ্বীপে পৌঁছার কথা রয়েছে তাদের।

এ বিষয়ে ভাসানচরে অবস্থানরত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি (সিআইসি) জহিরুল ইসলাম বলেন, ভাসানচরের উদ্দেশে ৪৮৩ পরিবার রোহিঙ্গা উখিয়া থেকে যাত্রা করেছে। তারা এখানে পৌঁছানোর পর নিজ সেন্টারে তুলে দেওয়ার জন্য আমরা এখানকার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।

এদিকে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ৯ম দফায় ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে সরকার ভাসানচরে পাঠায়। এছাড়া গত বছর মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

এদিকে বিষয়ে ৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন জানান, শিবিরগুলো থেকে ১২৮৮ জন রোহিঙ্গা এবারে ভাসানচরে যেতে রাজি হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে বাসে যাত্রা করেছে।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সেনাদের অভিযান থেকে প্রাণে বাঁচতে দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরগুলোতে বসবাস করছেন। তাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নৃশংস অভিযানের সময়ে পালিয়ে এসেছিলেন। শরণার্থীদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত ১ লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

Exit mobile version