ভিজিডি চাউল ভিতরণে অনিয়মের অভিযোগ রামগড়ের হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :
চোরে না শুনে ধর্মের বানী, এই বাক্যটির যথাযথ প্রমান করেছে খাগড়াছড়ি’র রামগড় উপজেলার ৩নং হাফছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা। অনিয়মের অভিযোগে ইতিপূর্বে দুইবার বরখাস্ত হয়েও হয়নি তার। বরখাস্থকালীন সময় চেয়রম্যান না থাকায় প্রায় ২মাস অভিভাবকহীন ছিল পরিষদটি। পরবর্তীতে হাইকোর্ট থেকে বহিস্কারের আদেশের ৬মাসের স্থগিতাদেশ নিয়ে পুনরায় স্বপদে বহাল থেকে অনিয়ম-দূর্নীতি চালু রেখেছেন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রীতি সময়ে অনিয়ম দুর্নীতিতে তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন।
খাদ্য অধিদপ্তর থেকে বরাদ্ধকৃত হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা ও গরীব দুস্থ মহিলাদের জন্য বরাদ্দকৃত মাসিক ৩০কেজি চাউল বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাৎ করার অভিযোগ করেছে সুবিধাভোগীরা। হাফছড়ি ইউনিয়নের প্রায় ৪শ কার্ডধারীর মধ্যে অনেকেই অভিযোগের করেন, মাসিক ৩০কেজি চাউলের পরিবর্তে চেয়ারম্যান নিজেই উপস্থিত থেকে ২৫কেজি চাউল বিতরণ করেছেন। তাই গরীবের হক আত্মসাতের কারণে ইতিমধ্যে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এলাকায় চাপা ক্ষোপ লক্ষ করা গেছে।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার দুপুরে চাউল বিতরণের স্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। বড়পিলাক এলাকার মোবারক, ফারুক, জোহরা বেগমসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, বিগত মাসেও ৩০কেজি চাউলের পরিবর্তে ২৫ কেজি করে বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি কার্ড থেকে ৫ কেজি করে কম দিয়ে প্রায় ৪শ কার্ড থেকে ২ হাজার কেজি চাউল আত্মসাৎ করেছে চেয়ারম্যান। যার বাজার মূল্য বর্তামানে প্রায় ৭০ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে সকলের সামনে উচ্চ কন্ঠে বলেন, ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট সকল’কে টাকা দিতে হয়, আর এসকল কারণে আমি বাধ্য হয়ে চাউল কম দিচ্ছি।
এব্যাপারে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এতোবেশি কম দেওয়ার সুযোগ নেই। আমি বিষয়টি দেখছি। তবে চাউল বিতরণকারী ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, আগামী মাসে কম দেওয়া চাউল পুনরায় বিতরণ করা হবে।