parbattanews

ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পসমূহের কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করার তাগিদ

কাউখালী প্রতিনিধি:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার ঘোষণাকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ অঞ্চলের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।

তিনি মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর )কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া উপগ্রহ-ভূকেন্দ্রে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পরিদর্শন, নবনির্মিত কাউখালী উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়াম ও কাউখালী-কচুখালী সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে নবনির্মিত অডিটরিয়াম মিলনায়তনে এক সভায় একথা বলেন।

কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌচামং চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) তপন কান্তি ঘোষ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা, কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মো. বেলাল উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কমল বরন সাহা প্রমুখ।

এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব নাছিরুল আলম, সুদত্ত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মজিবুল আলম।

নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহকে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, ৫৪ কোটি টাকার বাজেট নিয়ে যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো সেখানে আজ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের বাজেটে কাজ করা হচ্ছে।

পার্বত্য সচিব বলেন, সরকারের আন্তরিকতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছাইনি সেখানে ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সোলার প্যানেল নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া বিলুপ্ত প্রায় বাঁশ শিল্পকে বাঁচাতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলায় বাঁশ বাগান সৃজন ও মিশ্র ফলদবাগানের প্রকল্প বাস্তবায়ন নারীদের বিশেষ প্রশিক্ষন দেয়ার কথাও বলেন।

Exit mobile version