ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা গ্রহণ করায় লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিবকে স্ট্যান্ড রিলিজ

fec-image

চলতি এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা ১ম পত্রে ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহণ করায় লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও অত্র কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম (২০১৬৭০৩৫৭৮) প্রকাশ ফরিদ সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষ) কে খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়েছে।

ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কসবা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) কে লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলী করা হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো: গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত বদলীর আদেশের প্রজ্ঞাপন বৃহস্পতিবার বিকালে লামায় পৌঁছে। বদলীর আদেশের স্মারক নং- ৩৭.০১.০০০০.১০৬.২৭.০০৩.১৯-৯২ তারিখ- ৫  ফেব্রুয়ারি ২০২০।

প্রেরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে উল্লেখিত শিক্ষকগণ আগামি ০৯ ফেব্রুয়ারি হইতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিমুক্ত হবেন।

এদিকে ভুল প্রশ্নে ৫১ ছাত্র-ছাত্রীর পরীক্ষা গ্রহণ করায় বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন।

বুধবার দিনব্যাপী লামায় অবস্থান করে জেলা প্রশাসক স্বয়ং নিজে কেন্দ্র সচিব, কক্ষ পরিদর্শক, ছাত্র-ছাত্রী, সুধীজন ও পরীক্ষার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য গ্রহণ করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর ছাড়ায় ভুল প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা হয়েছে। কেন্দ্র সচিব মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম ফরিদ নিজে এই প্যাকেট খুলেছেন। প্রশ্নপত্রের এই প্যাকেট খোলার সময় সংশ্লিষ্ট কোন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিল না এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতামত গ্রহণ করা হয়নি।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেছেন, ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়া ৫১ ছাত্র-ছাত্রী যাতে করে কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এজন্য শিক্ষাবোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দেওয়ার কারণে এই সকল ছাত্র-ছাত্রীর কোন ধরণের ক্ষতি হবে না বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: এসএসসি, ভূল প্রশ্নপত্র, লামা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন