parbattanews

পেকুয়ার ৪৫ ভূমিহীন ও গৃহহীণ পরিবারের নতুন স্বপ্ন

কক্সবাজারের পেকুয়ায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহপ্রদান ভিডিও কনফারেন্সে শুভ উদ্বোধন করেন। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় উপজেলা হলরুমে সারাদেশের ন্যায় পেকুয়া উপজেলা প্রশাসন এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

উক্ত অনুষ্ঠান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাছেম বিল্ল্যাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মিনু, ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিকি মারমা, উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযুদ্ধা এড.কামাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টি এসও ডাঃ ছাবের আহমদ, কানগু শান্তি হরন চাকমা, পেকুয়া সদর তহশিলদার রফিক, টইটং তহশিলদার হেলাল উদ্দিন, শীলখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন, বারবাকিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাও.বদিউল আলম, মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম, উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এটিএম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দনুর, টইটং ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সাহাবউদ্দিন, পেকুয়া পল্লী বিদ্যুৎ এজি এম দীপন চৌধুরী, সাংবাদিক জহিরুল ইসলামসহ সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ ও উপকারভোগীরা।

পেকুয়ায় ১ম পর্যায়ে উজানটিয়া ইউনিয়নে ৫ টি, টইটং ইউনিয়নে ৫ টি, শীলখালী ইউনিয়নে ১ টি মোট ১০ টি ঘরের জায়গার দলিল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ঘরের চাবী ভূমিহীন ও গৃহহীনদের হাতে তুলে দেন অতিথিরা। পরে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চেয়ে এক মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় গৃহহীন ও ভূমিহীনরা মহা খুশিতে আত্মহারা হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দোয়া ও ধন্যবাদ জানান। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাছেম বিল্ল্যাহ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মীকি মারমা টইটং সহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নির্মিত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর বুঝিয়ে দেয় এবং এ ঘরে তাদেরকে বসবাস করার জন্য বলেন এবং এ ঘর যাতে কারো বিক্রি না করার জন্য নির্দেশ দেন।

তথ্যসুত্রে “আশ্রয়নের অধিকার-শেখ হাসিনার উপহার” এই শ্লোগান নিয়ে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় পেকুয়া উপজেলার ৪৫ টি পাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১ম পর্যায়ে শিলখালী ১ টি, টইটং ৫ টি, উজানটিয়া ৫টি মোট ১০টি ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ঘরগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

সূত্রে আরো জানা যায়, ভূমি মন্ত্রণালয় ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এ প্রকল্পের আওতায় ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা মোট ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রতিটি ঘর নির্মাণ হচ্ছে। প্রতিটি ঘরে রয়েছে দুটি বেড রুম, টয়লেট, রান্নাঘর, নামাজের জায়গা ও একটি বারান্দা। ঘর ও আশপাশের জমি মিলিয়ে দুই শতক খাসজমি দেওয়া হয়েছে। উপকারভোগী প্রতিটি পরিবারকে। টিনসেডের এই ঘরে একটি পরিবার স্বাচ্ছন্দে বসবাস করতে পারবে।

Exit mobile version