কাপ্তাই প্রতিনিধি:
কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনাস্থ রাইখালী বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই পুড়ে গেছে ২৬টি বসতবাড়ি। রবিবার দুপুরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
জানাযায়, দুপুর দেড়টার দিকে দীলিপ চক্রবতীর নামের স্থানীয় একজনের বাসার গ্যাসের চুলা হতে এ অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘটে। রিমঝিম বৃষ্টির মধ্যেই হঠাৎ অগ্নিকান্ডের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে চারদিক। আগুনের প্রচন্ডতাপে একে একে ২৬টি বসত পুড়ে যায়। আগুন লাগার সাথে সাথে কাপ্তাই নৌবাহিনী ও রাঙ্গুনিয়ার ৩টি ফায়ার সার্ভিস টিম ফেরি পার হয়ে আসতে আসতে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় জনগন ও ফায়ার সার্ভিস গুলো এসে পার্শ্ববতী অন্যন্যা কিছু দোকান ও বসতবাড়ি রক্ষা করে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো সব হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। বারবার চিৎকার দিয়ে বিলাপ করতে থাকে তারা।ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডে তাদের প্রায় ৩ কোটি টাকার মত সম্পদ ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে অগ্নিকান্ড লাগার সাথে সাথে কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়েছে। আবার বিকাল ৪টার দিকে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক শামসুল আরেফিনও ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন জানান, ১টার দিকে কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী বাজারে হঠাৎ আগুন দেখা যায়। পরে তাৎক্ষণিক আগুন বাজারের চারপাশে ছড়িয়ে পরলে প্রায় ২৫/২৬টি দোকান ও বসতঘর পুড়ে যায়। খবর পেয়ে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাপ্তাই ও রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসসহ নৌ বাহিনীর ফায়ার সার্ভিসের দল। প্রায় আড়াই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। তবে এঘটনায় হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকা ।
এদিকে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী বাজারে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. শামসুল আরেফিন, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারিকুল আলম, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য থোয়াইচিং মং প্রমূখ।
নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম বলেন, অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি পরিবারকে নগদ তিন হাজার টাকা প্রদান করেন বলে জানান তিনি ।