মঙ্গোলিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

fec-image

বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নেমেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে মঙ্গোলিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।

এই ম্যাচে চোটের কারণে ছিলেন না টাইগ্রেসদের দুই সেরা খেলোয়াড় সিরাত জাহান স্বপ্না এবং কৃষ্ণা রানী সরকার। মনিকা চাকমার একমাত্র গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতির পর মারজিয়া আর তহুরার গোলে ফাইনাল নিশ্চিত করে লাল-সবুজের দলটি।

শুরু থেকেই মঙ্গোলিয়াকে চাপে রাখে ‘বি’ গ্রুপের সেরা হয়ে সেমি-ফাইনালে উঠে আসা বাংলাদেশ। তৃতীয় মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে তালগোল পাকিয়ে শট নিতে পারেননি সাজেদা খাতুন। একটু পর এই ফরোয়ার্ডের আরেকটি প্রচেষ্টা ফেরান গোলরক্ষক।

ষোড়শ মিনিটে মিডফিল্ডার সানজিদা আক্তারের শট পোস্টে লেগে ফিরে। চার মিনিট পর ছোট ডি-বক্সের ওপর থেকে আঁখি খাতুনের শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বেরিয়ে যায়।

অবশেষে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোলের অপেক্ষার অবসান হয়। ডি-বক্সের একটু ওপর থেকে মনিকার বাঁ পায়ের ভলিতে বল জালে জড়ালে গ্যালারির হাজার পাঁচেক সমর্থককে আনন্দে মেতে ওঠে।

সাজেদার বদলে তহুরা খাতুনকে নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে বাংলাদেশ। ৫২তম মিনিটে ডি-বক্সে বল নিয়ে ঢুকে শট নিতে পারেননি তহুরা; পাশে থাকা মার্জিয়া শট নিলেও বল দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়। সাত মিনিট পর মারিয়া মান্ডার শট কোনো মতে কর্নারের বিনিময়ে ফেরার গোলরক্ষক।

৬৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ২-০ এবং কিরগিজস্তানকে ২-১ গোলে হারানো বাংলাদেশ। মনিকার থ্রু পাস ধরে বাঁ দিক দিয়ে খানিকটা এগিয়ে গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন মার্জিয়া। চলতি আসরে প্রথম গোল পেলেন এই ফরোয়ার্ড।

শেষ দিকের গোলে ফাইনালে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। ডিফেন্ডার শামসুন্নাহারের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তহুরার শট এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে কিছুটা দিক পাল্টে জালে জড়ায়।

দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে তহুরার আরেকটি শট অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে ব্যবধান বাড়েনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন