মণিপুরে কফিন নিয়ে মিছিল করলো কুকিরা
মণিপুরে ১০ জন কুকি জো যুবকের খুনের প্রতিবাদে কালো পোশাক পরে কফিন নিয়ে মিছিল করল কুকিদের তিনটি সশস্ত্র সংগঠন।
জঙ্গি তকমা দিয়ে সিআরপিএফ বাহিনীর হাতে ১০ জন কুকি জো যুবকের খুনের প্রতিবাদে এই মিছিলের ডাক দেয় কুকি ছাত্র সংগঠনগুলি।
দশম শ্রেণির ঊর্ধ্বে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের কালো জামা পরে মিছিলে অংশ নিতে বলা হয় জোমি স্টুডেন্টস ফেডারেশন, কুকি স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন এবং হমার স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে । সেই মতো ১০টি প্রতীকী কফিন নিয়ে শোক-প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয় কুকিদের তরফে। সেইসঙ্গে স্লোগান তোলা হয় ‘জাস্টিস ফর ইন্ডিজেনাস পিপ্ল’।
গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিক ভাবে জাতিহিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে মণিপুরে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে পাহাড়ি এলাকার মিশ্র জনবসতি সম্পন্ন জেলা চূরাচাঁদপুর। সেখানেই দেখা গিয়েছে জাস্টিসের দাবিতে কুকিদের এই মিছিল। গোষ্ঠীহিংসায় নিহত পরিজনদের স্মরণে নকল কফিন ছিল সেই মিছিলে। অন্যদিকে মণিপুরের মেইতেই নাগরিক সমাজ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকায় যারপরনাই অসন্তুষ্ট। একটি বৈঠকে তারা একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। যাতে শাসকদলের বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকার কঠোর পদক্ষেপ না করলে তারা চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেবে বলে হুমকি দিয়েছে।
গত ৭ নভেম্বর থেকে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। বিশেষ করে এখানকার জিরিবাম জেলা। এখনও পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। গত সপ্তাহে জিরিবাম জেলায় হামলা চালায় কুকিরা। সেই ঘটনায় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে ১০ জঙ্গির মৃত্যু হলেও ৬ গ্রামবাসীকে অপহরণ করে কুকিরা। পরে তাদের হত্যা করা হয়। উত্তপ্ত মণিপুরের পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ১৪ নভেম্বর নতুন করে লাগু হয়েছে আফস্পা। বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
সূত্র :ডেকান হেরাল্ড