parbattanews

মরণ ফাঁদে পরিণত পেকুয়ার ধনিয়াকাটা সড়ক

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ার ধনিয়াকাটা সড়কে থেমে গেছে যানবাহন চলাচল। গত ১ মাস ধরে ওই সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের গ্রামীন জনপদের এ সড়ক বর্তমানে মৃত্যুফাঁদে পরিনত হয়েছে। সড়কটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত থাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ। পাশাপাশি পায়ে হেঁটেও আসা যাওয়া দুস্কর হয়েছে। গ্রামীন অবকাঠামো জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি বর্তমানে কাদায় নিমজ্জিত। সড়কের তিনটি পয়েন্টে মারাত্মক গর্তসহ কাদা মিশ্রিত হয়েছে। এতে করে এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। ধনিয়াকাটা বাজার থেকে এ সড়ক পূর্ব দিকে প্রবাহমান। টইটং ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা বটতলা বাজার থেকে এ সড়ক পাহাড়ি অঞ্চলে গিয়ে মিশে যায়। পাহাড় অঞ্চলের লোকজনের যাতায়াতের অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম এ সড়ক।

স্থানীয়রা জানায়, ধনিয়াকাটা বাজার থেকে আবাদিঘোনা পর্যন্ত এ সড়কটি বিস্তৃত। প্রায় তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ সড়কটি সম্প্রতি সময়ে যোগাযোগের অন্তরায় হয়েছে। টইটং ইউনিয়ন ও পাশ্ববর্তী বারবাকিয়া ইউনিয়নের অন্তত ১৫ থেকে ২০টি গ্রামের মানুষ এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। পাহাড়ি অঞ্চলের সাথে ধনিয়াকাটা বাজারে যাতায়াতের অন্যতম প্রানস্পন্দন এ সড়কটি। বর্তমান বর্ষার সময় সড়কটি বেহাল দশায় পরিনত হয়। টইটং ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ন্ত্রনাধীন এ সড়কটির সামান্য অংশ ব্রিক সলিং দ্বারা সংষ্কার কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। তিন কিলোমিটারের অধিকাংশে এ সড়কটি কাঁচা সড়ক। দীর্ঘ শত বছর আগে ধনিয়াকাটা বাজার থেকে এ সড়কের যাতায়াত ব্যবস্থা সুগম হয়। সে সময় থেকে পাহাড়ি অঞ্চলে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে সড়কটির গুরুত্ব অত্যন্ত সুদুরপ্রসারী। পাহাড়ি এলাকায় দোঁআশ মাটি ও বালি মিশ্রনে সড়কটির প্রাকৃতিক দর্শন। তবে বর্তমানে মানুষের যাতায়াত বেড়ে গেছে। সে সাথে ধনিয়াকাটার এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।

গত ১ মাস ধরে যানবাহন চলাচল একদম থেমে গেছে। ফলে পাহাড়ে উৎপাদিত পান, তরিতরকারী ও শাক সবজি বাজারজাত করন বন্ধ রয়েছে। সড়কটি অকেজো থাকায় এ সব অঞ্চলে উৎপাদিত কৃষিজাত পন্যে বেচাকেনা হ্রাস পেয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে কৃষক পরিবারে। স্থানীয় অর্থনীতিতে সড়কটির গুরুত্ব বহন করছে। পাহাড়ে শাক সবজি উৎপাদন করে হাজার হাজার মানুষ জীবিকা চালায়। সড়কটির বেহাল হওয়ায় এ সব কৃষিজ পন্য পরিবহনে ধস নামে।

স্থানীয়রা জানায়, সড়কটির অবস্থা অত্যন্ত করুন হয়েছে। গাড়ি চলাচল নেই। একই সাথে পায়ে হেঁটেও যাওয়া হচ্ছে না। ধনিয়াকাটা বাজারে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। জহিরুল ইসলাম, কামাল হোসেন, গ্রাম পুলিশ মনছুর, ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর, কৃষক কবির আহমদ জানায়, রাতে পায়ে হেঁটেও চলাফেরা যাচ্ছে না। এ সড়কটির এমন অবস্থার ফলে আমাদের জীবন যাত্রা থেমে গেছে। হ্রাস পেয়েছে জীবন ধারন।

টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানায়, সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাটি ভরাট হয়েছে। নিচু অংশ উচু করা হয়েছে। মাটিগুলি বসতে হবে। এর উন্নয়ন চলমান। বর্ষার পর সড়কটির উন্নয়ন ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করা হবে। তবে আগে এর চেয়ে আরও ক্ষতিগ্রস্ত ছিল।

Exit mobile version