parbattanews

মরার আগে গম রাস্তা দেইক্কম নে আরা

দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সড়কটি খানাখন্দ ও জলস্তুপ আর কাদায় ভরপুর হয়ে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে

আঁধার দেশে, কানা রাজা, যেমন বলে কেমন শুনি, ব্যক্তি লাভে গুনগান গাই। জনস্বার্থের বিরুদ্ধে ফেইজবুকে আতলামি করে। বৃষ্টি হলে গরিবের ঘর পানি পড়ে, তলপি বাহকরা বলে ঘর টেন্ডার হইছে, স্কুল সড়ক দিয়ে শিক্ষার্থীরা হাঁটু পানিতে ড্রেস ভিজিয়ে হাটে, সুবিধাবাদীরা চায়ের দোকানে পা এর উপর পা তুলে বলে রাস্তা টেন্ডার হইছে কাজ হবে।

পুটিবিলার পৌর সড়কে টমটম, রিকসা, গাড়ি উল্টে মানুষের হাত পা ভাঙ্গে, দ্রুত কোন রোগি, ডেলিভারী মহিলা চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়ার পরিবেশ নেই। রিলিফের কার্ড ভক্তরা বলে আগামী মাসে রাস্তার কাজ শুরু হবে। এসব কথা বিভিন্ন সভা সমাবেশে শুনতে শুনতে বছরের পর বছর গেলেও ভাঙ্গা রাস্তার জায়গায় ভাঙ্গাই থেকে গেল। কোন জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসন উন্নয়নে হাত দিল না।

বলছিলাম মহেশখালী পৌরসভার পুটিবিলা এলাকার বিভিন্ন সড়ক উপ সড়কের কথা। এই অবস্থায় দৃশ্যমান কার কথা কে শুনে। মহেশখালী পৌর সদরের মহেশখালী কলেজ থেকে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ফায়ার সার্ভিস সম্মুখ সড়কটি। একই সাথে হাসপাতালের পশ্চিমে উত্তর পার্শ্বের এড.ফজলুল করিম সড়কটি। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সড়কটি খানাখন্দ ও জলস্তুপ আর কাদায় ভরপুর হয়ে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।

জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির ওপর নির্ভরশীল মহেশখালী উপজেলার প্রাচীন বিদ্যাপিঠ আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়, মহেশখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মহেশখালী কলেজ, মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আয়েশা ছিদ্দিকা বালিকা মাদরাসাসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত যাতায়াত। অথচ সড়কটির বেহাল দশায় পড়ে থাকলেও বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই। সম্পূর্ণ সড়কটিতে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি ছাড়া ও বৃদ্ধ মানুষের দাঁত ক্ষয় হয়ে যাওয়ার মত ইট গুলি ক্ষয় হয়ে লক্ষর ঝক্করে পরিণত হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলে সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সামান্য বৃষ্টিতেই পুরো সড়কটি জলাশয়ে পরিণত হয়। সড়কে অহরহ দূর্ঘটনাসহ ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক যান চলাচল। এ জনদূর্ভোগের শেষ কোথায়? তাও বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ কেন হচ্ছে না সড়কটির সংস্কার কাজ ? কেন বৈষম্যের স্বীকার এ এলাকার জনগণ?

স্থানীয় প্রবাসী মনির দূঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের পৌর কর তো মাপ নেই, হোল্ডিং টেক্স মওকুপ নেই, একটি সনদ নিতে সমানভাবে পৌর কর পরিশোধ করতে হয়। সড়কসহ নানা উন্নয়ন ও বরাদ্ধ পেতে কেন বৈষম্যর শিকার হব? এ সড়কটি দিয়ে এসএসসি, এইচএসসি, দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতাগণ যাতায়াত করে থাকলেও তাদের মুখে সড়কটির উন্নয়নে কোন পদক্ষেপ নেই।

জনসাধারণের দূর্ভোগ লাঘবে তাদের কোন কার্যকরি ভূমিকা নেই। মহেশখালী পৌরসভায় মহেশখালী ডিজিটাল আইল্যান্ড ভবনের সুবাধে শুকনো মাছ ও ডিজিটাল লাইনে বিক্রয় হয়। পেশাদার কার্গো ট্রলারের মাঝিমাল্লারা এখন আধুনিক কৃষকে পরিনত হলেও চরম দূঃখের বিষয় সরকারি স্কুলটি পুটিবিলায় হওয়াতে কোন ডিজিটালের সুযোগের আওতায় পড়ে না। যত বেশি বৃষ্টি হয় সড়কগুলিতে পানি বৃদ্ধির উচ্চতা বাড়ে। স্কুল, কলেজ, মাদরাসা শিক্ষর্থীদের পোষাক বিনষ্ট হয়।

বৃদ্ধা জমিলা খাতুন বলেন, ও বাজী আরার রাস্তা বানাইত দেশেত মিস্ত্রী তৈরী য়ইয়েনে। মরার আগে গম রাস্তা দেইক্কম নে।

Exit mobile version