মহালছড়িতে গড়ে তোলা তাঁত কেন্দ্রের বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র উদ্বোধন

fec-image

খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়িতে নিজস্ব উদ্যেগে গড়া মিতা টেক্সটাইল হতে উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় ও প্রদ্শনী কেন্দ্র উদ্বোধন। এরই মধ্য দিয়ে শুরু হলো নারী উদ্যেক্তা মিতা চাকমার পথ চলা।

শুক্রবার (৩ মার্চ) সকাল ৯ টায় মাইসছড়ি বাজারের পাশে নোয়াপাড়াতে স্টল বসিয়ে মিতা টেক্সটাইলে উৎপাদিত বস্ত্র বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধন করেন মাইসছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সাজাই মারমা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংশ্লিষ্ট মৌজা প্রধান স্বদেশ প্রীতি চাকমাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গগণ। এছাড়াও বিপুল সংখ্যক ক্রেতা ও এলাবাসীর উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনকালে ইউপি চেয়ারম্যান সাজাই মারমা নারী উদ্যেক্তা মিতা চাকমার উদ্যেগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ উদ্যেগের ফলে শুধু কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা বেকারত্ব দূর হবে তা নয়, এতে করে মহালছড়িবাসী তথা খাগড়াছড়ি জেলাবাসী উপকৃত হবে।

তিনি আরও বলেন, নারীরা এখন চিন্তা চেতনার দিক থেকে কোনভাবেই পিছিয়ে নেই। এভাবে নিজেরাই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী হওয়ার মতো যোগ্যতা তৈরি করা কম কথা নয়। বেকার না থেকে নারী পুরুষ সকলেই নিজ উদ্যেগে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্রে আসা ননিকা চাকমা নামের এক ক্রেতা জানান, কাপড়ের দামও কম আর গুনগত মানও ভালো। এই এলাকায় এ ধরণের একটা উদ্যেগ নেয়ার জন্য মিতা চাকমা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। পিনোন- খাদির জন্য এখন থেকে রাঙ্গামাটি বা খাগড়াছড়ি সদরে যাওয়া লাগবে না। অল্প টাকায় এখান থেকেই কেনা যাবে।

মিতা টেক্সটাইলের স্বত্বাধিকারী মিতা চাকমা বলেন, ছোটকাল থেকেই তাঁত শিল্পের প্রতি জোক থাকলেও পারিবারিক ও আর্থিক সমস্যার কারণে উদ্যেগ নিতে পারেনি। স্বামীর সংসারে এসে শেষ বয়সে হলেও স্বামীর সহযোগিতায় তিনি ছোটকালের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার সুযোগ পেয়েছেন। বর্তমানে ১৮টি তাঁত থাকলেও ১২টি তাঁত চালু রয়েছে।

তিনি আরও জানান, অর্থের অভাবে বাকি তাঁতগুলো চালু করতে পারছেন না। সরকারি বা বেসরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেলে তাঁতের সংখ্যা বাড়িয়ে পিনন, খাদি ও গামছা ছাড়াও বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড় তৈরি করা যেত। এতে করে এলাকার বেকারত্ব দূর হতো আর আর আর্থিকভাবেও লাভবান হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: উদ্বোধন, কেন্দ্র, গড়ে
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন