parbattanews

মহালছড়িতে বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চিবর দান অনুষ্ঠিত

katina-pic
মহালছড়ি প্রতিনিধি :
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার পুরাঞ্জয় মহাজন পাড়া গ্রামে গৌতম বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চিবর দান অনুষ্ঠান বুদ্ধের প্রধান উপাসিকা বিশাখার প্রদত্ত রীতিনীতি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ অক্টোবর সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় তুলা থেকে সুতা তৈরি আর সুতা রং করা এবং বেইন (তাঁত) বুননের কাজ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই চিবর তৈরির কাজ শেষ করে ২১ অক্টোবর শুক্রবার এ চিবর দান করা হয় ভিক্ষু সংঘকে।

নিরলস ও কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে চিবর তৈরি করে কঠোর পরিশ্রমে তৈরি করা এ রঙিন কাপড় দেয়াকে বৌদ্ধ ধর্মীয় মতে বলা হয়ে থাকে কঠিন চিবর দান। এ দানের মাধ্যমে পূণ্যতা অর্জন করেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী নারী পুরুষসহ বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের উপস্থিতিতে এক উৎসবে পরিণত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহালছড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাকলী খীসা।
কঠিন চিবর দান অনুষ্ঠানের ধর্মীয় আলোচনা সভায় প্রধান ধর্মীয় আলোচক হিসেবে, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ সভাপতি জ্ঞান নন্দ মহাথের।

উল্লেখ্য, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে বুদ্ধের সময় বুদ্ধের প্রধান উপাসিকা উপাসিকা বিশাখা ভিক্ষুসংঘের উদ্দেশ্যে কঠিন চীবর দান করেন। বুদ্ধের সময়ে মগধরাজ্যে পাঁচজন শ্রেষ্ঠী (ধনকুবের ) ছিলেন। মেন্ডক, জ্যোতিষ, জটিল, পুর্ণ ও কাকবলিয় এই পাঁচজন শ্রেষ্ঠীর প্রত্যেকে বুদ্ধের অনুগত ছিলেন। ধনকুবের মেন্ডক শ্রেষ্ঠীর পুত্রের নাম ধনঞ্জয় শ্রেষ্ঠী এবং পুত্রবধুর নাম ছিল সুমনাদেবী। তাদেঁর গুনবতী ও রূপবতী কন্যার নাম বিশাখা। বুদ্ধের ধর্ম এবং শাসন প্রচার ও প্রসারে বিশাখা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনিই একমাত্র উপাসিকা যার মধ্যে মাত্র সাত বছর বয়সে বুদ্ধের প্রতি অটল শ্রদ্ধা জন্মে ছিল।

Exit mobile version