parbattanews

মহালছড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় আহত বিএনপির নেতার মৃত্যু, বিএনপি দায়ী করলেও আ’লীগের অস্বীকার

খাগড়াছড়ির মাহলছড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত বিএনপির নেতা নুরুল ইসলাম ওরফে লাল মিয়া টানা ১২ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। মঙ্গলবার সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নুরুল ইসলাম মহালছড়ি উপজেলার মাইচছড়ি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

নুরুল ইসলামের ছোট ভাই সুরুজ্জামানের অভিযোগ, গত ১৯ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে মো. ছিদ্দিক, সোহেল ও মো. মানিকের নেতৃত্বে বিএনপির নুরুল ইসলামের উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা তার মাথায় এলোপাথারি আঘাত করে। গুরুতর আহত নুরুল ইসলামকে ওই দিন রাতে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার অবস্থা অবনতি হলে চিকিৎসকরা ২৪ আগস্ট তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করে। অবশেষে মঙ্গলবার সকাল ৭টায় নুরুল ইসলাম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

মঙ্গলবার( ১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় জানাযা শেষে নুরুল ইসলামের লাশ নিজ এলাকায় দাফন করা হয়। জানাযায় দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও মহালছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীরও অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

সুরুজ্জামানের অভিযোগ, তিনি এ ঘটনায় মহালছড়ি থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নেওয়ায় তিনি ২৫ আগস্ট আদালতে ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

তবে মহালছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলা করতে আসলে অবশ্যই মামলা নেওয়া হতো।

এ দিকে মহালছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের দাবি এ ঘটনার সাথে আওয়ামী লীগের কোন সম্পৃক্ততা নেই। পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

এ দিকে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার, মহালছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বিএনপির নেতা নুরুল ইসলামের হত্যাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

Exit mobile version