মহিউদ্দিন বন্ধুর উদ্যোগে বিরল ঐকমত্যে রাজনৈতিক দলগুলো


বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নীতিগত ঐকমত্যের উদাহরণ খুব কম। তবে সম্প্রতি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সবুজায়ন ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নকে ঘিরে এক বিরল ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। ভেদাভেদ ভুলে এই কর্মসূচি পালনে একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার করেন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
“পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়ন কর্মসূচি” এবং “মাদকমুক্ত বাংলাদেশ কর্মসূচি” বাস্তবায়নে প্রস্তাব দেন গ্রীন পলিসি মুভমেন্টের আহ্বায়ক মোঃ মহিউদ্দিন বন্ধু। তিনি বলেন— “সকল রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠনের জোরালো ভূমিকা এবং রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে দেশে এক ঐতিহাসিক পরিবর্তনের ছোঁয়া আসবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সবুজায়ন এবং মাদকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সকলের মতামতের আলোকে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা উপস্থাপন করব। আমাদের বিশ্বাস, রাষ্ট্র সম্মিলিতভাবে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”
এই কর্মসূচি শতভাগ বাস্তবায়ন করবেন বলে আশ্বাস দেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। তিনি বলেন, “আমরা উক্ত বিষয়ে সম্পূর্ণ একমত, আমরা এই বিষয়ে কাজ করব। বিএনপি সরকার গঠন করলে এ বিষয় শতভাগ বাস্তবায়ন করবে। আমরা প্রস্তাবনা চিঠিটি মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (তারেক রহমান) কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি।”
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, “উক্ত প্রস্তাবনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এ বিষয়ে কাজ করবো, তবে রাষ্ট্র নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত না নিলে এর পূর্ণ বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানান, “প্রস্তাবনা চিঠিটা পেয়েছি, উক্ত বিষয়ে আমাদের পরিবেশ টিম কাজ করবে।”
উদ্যোগটিকে স্বাগত জানিয়ে ডাকসুর ভিপি ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, “উদ্যোগটি খুব চমৎকার। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সবুজায়ন, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। এজন্য সকল রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের জোরালো ভূমিকা এবং রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের মেঘমল্লার বসু বলেন,“বাংলাদেশে সবুজায়নের রাষ্ট্রীয় নীতি প্রণয়ন করা প্রয়োজন। শিল্পায়নের ক্ষেত্রেও প্রকৃতি সচেতন বিধিমালা থাকা জরুরি। জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি রূপরেখা দরকার। মাদকাসক্তিকে একটি মনোরোগ হিসেবে সনাক্ত করে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার আওতায় এনে নির্মূল করতে হবে। এই শুভ উদ্যোগের জন্য গ্রীন পলিসি মুভমেন্টের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বন্ধুকে সাধুবাদ জানাই।”
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদ সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, জনস্বার্থে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মহিউদ্দিন বন্ধুকে ধন্যবাদ।
মহিউদ্দিন বন্ধুর এমন প্রস্তাবকে স্বাগত জানান সমাজের নানা শ্রেণি পেশার মানুষও। এমনকি সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন—এটি কেবল একটি সামাজিক কর্মসূচি নয়, বরং জাতির ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও টেকসই নিরাপত্তার প্রশ্ন।

















