মহেশখালীতে আগুনে পুড়ঁলো আপন ৪ ভাইয়ের বসতঘর। উপজেলার কুতুবজুম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা বাজার এলাকায় শুক্রবার(১০ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় বিদ্যুতের শট সার্কিট থেকে আগুন লেগে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা হয়।
মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাংগা ১নং ওয়ার্ডে বদি মাঝির ভিটায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয় বলে জানা যায়। বসত ঘরে বসবাস করত মরহুম আলী হোসেনের চার পুত্র, নুরু মাঝি, শামসু মাঝি, বদি মাঝি ও তাদের ছোট ভাই ফরিদ ।
আগুনে শিখা দেখলে গ্রামবাসী বালি, পানি ইত্যাদির মাধ্যমে আগুন নিভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থতা হয়।ফায়ার সার্ভিসকে জানালে যত দ্রত সম্ভব তারা এসে উপস্থিত হয়। গ্রামবাসী, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ প্রসাশনের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে প্রায় ১ ঘন্টা জ্বলার পর তখন আগুনে সব ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি, তাদের প্রতি পরিবারের -পাঁচ লক্ষ টাকা করে মোট ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। নুরু মাঝি বলেন, মাত্র ৮ মাস পূর্বে ঘরটি তৈরি করা হয়, ঘরের সব ফার্নিচার নতুন ছিল।আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেল। আমাদের পরিবারে সব কিছু মুহুর্তে শেষ হয়ে গেলো।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জানায়, আমি যখনি ফোনে জানতে পারি কুতুবজোম ঘটিভাংগায় আগুন লেগেছে তখন আমরা সাথে সাথে বেরিয়ে পড়ি।আগুন লাগা বসত ঘরের পাশে কোন পুকুর অথবা পানি উৎস না থাকায় আমরা প্রথমে হিমশিম খেয়েছি, শেষে এক বৃদ্ধ মহিলার সহযোগিতায় আধা কিলোমিটার দূরত্বে পানি উৎস খুঁজে পায় যার ফলে তাড়াতাড়ি আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।যার ফলে, আশে পাশের আরো বহু বসত বাড়ি রক্ষা পায়।
ঘটিভাংগা ইউপি সদস্য রিমন ছিদ্দিক জানায়, আমি আগুনের খবর জানার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করি, তারপর গ্রামবাসীর সহযোগিতা নিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা চালিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, আমি চেয়ারম্যান সাথে কথা বলেছি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ হতে।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরির্দশন করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শীত বন্ত্র বিতরণ করে বলেন, তাদের সরকারীভাবে সহ্য়াতা প্রদান করা হবে।