parbattanews

মহেশখালীতে ঘন্টায় ৪৫ বার বিদ্যুতের মিস কল

বিদ্যুত

মহেশখালী প্রতিনিধি:

জেলার মহেশখালী উপজেলায়  বিদ্যুতের ভেল্কিবাজীতে অতিষ্ট হয়ে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ মানুষ।। ফলে যে কোন মুহুর্তে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে পারে। বিগত ১ মাস ধরে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ মহেশখালীবাসীর সাথে অনেকটা প্রতারণা করে আসছে বলে এলাকার লোজনের অভিযোগ।

সরেজমিনে মহেশখালী ঘুরে দেখা যায়, একদিকে ঘন্টায় ৪৫ বারের মত লোডশেডিং কিন্তু প্রতি মাসের শেষে বিলে দেখা যায়, মিটার রিডিং অন্যমাসের চেয়ে এ মাসেই বেশি। অথচ ২৪ ঘন্টায় একটানা এক ঘন্টাও বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে দেশের বৃহত্তম দ্বীপ উপজেলার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান  প্রায় বন্ধের পথে। মিল কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিকরা আন্দোলনের দিকে যাচ্ছে বলে জানা যায়।

ইতিপূর্বে গোরকঘাটা বাজারের সচেতন ব্যবসায়ীরা পল্লী বিদ্যুতের ভেল্কিবাজীতে অতিষ্ট। তারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার মুহুর্তে পল্লী বিদ্যুতের জিএম রাজনৈতিক নেতার মাধ্যমে ঘন্টায় এ কাধিকবার লোডশেডিং না দেয়ার শর্ত দিয়ে আন্দোলন থামিয়ে রাখে।

গত সপ্তাহে দেখা যায়, ঘন্টায় অর্ধশতাধিকবার লোডশেডিং দেয়া হয় । গতকাল ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ঘন্টায় ৪৫ বার লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটে। এক মিনিটের মাথায় বিদ্যুৎ আসলেও পরবর্তী ৩০ সেকেন্ট হতে না হতেই আবার চলে যায়। এদিকে অত্রলাকার চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পড়েছে চরম দূর্ভোগে। অন্যদিগে এভাবে পল্লী বিদ্যুতের ভেল্কিবাজীতে গোটা মহেশখালীবাসী ফোঁসে উঠেছে।

গত শীত মৌসুম শেষ হওয়ার পরপরই পল্লী বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ের প্রতিযোগিতায় নামে। অথচ বর্তমান সরকার জনগণের সুবিধার্থে প্রত্যন্ত গ্রামে গঞ্জে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে আসলেও কাজের বেলায় শূন্যের কোঠায়।  

বড় মহেশখালীর খুইল্যা মিয়া নামের একশ্রমিক জানান, গত সপ্তাহে মাত্র ১৬ গাছের মিলে কাজ করতে পেরেছি। যার কারণে ছেলে মেয়ে ও পরিবার নিয়ে সপ্তাহে একাধিকবার উপবাস থাকতে হয়েছে।এভাবে লোডশেডিং অব্যাহত থাকলে গোটা পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে বলে জানা তিনি।

পুটিবিলার ছলিম নামের এক রিক্সা চালক জানান, সারাদিন রিক্সা চালিয়ে রাতের বেলায় ভাড়া বাসায় থেকেও ঘুমাতে পারছি না। সারা রাত কয়েক মিনিট তাও আবার কয়েক সেনেন্ডের জন্য।

স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ একটানা লোডশেডিং দিলে তাতে তাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু ঘন্টায় অর্ধশতাধিকবার লোডশেডিং কোন অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না বলে জানা তারা।  কাঁচামাল ব্যবসায়ী রফিক জানান, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ঘন ঘন লোডশেডিং করলেও মাসের শেষে বিল লেখে যায় অন্যমাসের চেয়ে দ্বিগুণ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছেন লোডশেডিং করলে নাকি মিটার রিডিং বেড়ে যায়।

স্থানীয়দের দাবি, মহেশখালী পল্লী বিদ্যুৎ ইনচার্জের কারিশমায় মহেশখালীবাসীর এই দুর্ভোগ। এ ব্যাপারে জানন্তে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ ইনচার্জ তিনি বলেন এটা শুধু মহেশখালীতেই না অন্যা এলাকাতেও এমন হচ্ছে। একটানা লোডশেডিং না দিয়ে, ঘন্টায় অর্ধশতাধিক বার কেন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি কলটি কেটে দেন। 

Exit mobile version