parbattanews

মহেশখালীতে চট্রগ্রামের গাড়িচোর চক্র ও মলমপার্টির শীর্ষ ২ সদস্য অস্ত্রসহ আটক


মহেশখালী প্রতিনিধি:

মহেশখালীতে চট্রগ্রামের গাড়িচোর চক্র ও মলম পার্টির শীর্ষ ২ সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- চট্রগ্রাম জেলার কর্ণফুলী থানার জোলদা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আলমগীর এবং চট্রগ্রাম জেলার পটিয়া থানার মহিরা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে জামাল উদ্দিন।

বুধবার(৬জুন) বেলা ২টার সময় মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের কেরুণতলি বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি দেশীয় তৈরি বন্দুক ৩ রাউন্ড তাজাকাতুর্জ , মুখোশ, মলম এবং মলম মিশ্রিত বিস্কুট উদ্ধার করেছে মহেশখালী থানার পুলিশ।

মহেশখালী থানার এএসআই সনজিব জানান, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এর নির্দেশে রমজানে উপজেলার আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হোয়ানক এলাকায় টহলরত অবস্থায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্রগ্রামের গাড়িচোর চক্রের মলম বাহিনীর ২সদস্য ঘুরাফেরা করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় হোয়ানক পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ রোকন উদ্দীন এবং সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক কর হয়।

থানায় আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়  বিগত ৪ বছর আগে পৌরসভা এলাকার ড্রাইভার মো. গিয়াস উদ্দিনকে মলম মিশ্রিত বিস্কুট খাইয়ে চকরিয়া-বদর খালী সড়ক খেকে দিনদুপুরে নতুন সিএনজি চিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে প্রায় ৩লক্ষ টাকা বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন করে ওই চক্রের হাত থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়।

গত ২মাস আগে  মো. শাহ আলম নামের অপর একজন টমটম চালককে মলম লাগিয়ে, মহেশখালীর শাপলাপুর থেকে টমটম গাড়িটি চট্রগ্রামের সিএমপিতে নিয়ে বিক্রি করে দেয় বলেও স্বীকার করে আটককৃতরা।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানান- দীপের মানুষ খুবই শান্তশিষ্ট, চোরচক্রের লোকজন তাদের সাথে প্রথমে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে এবং সুযোগ বুঝে মলম ব্যবহারের মাধ্যমে অচেতন করে গাড়ি গুলো মহেশখালী থেকে বিভিন্ন পথে চট্রগ্রামে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে চুরি হওয়া গাড়ীর মালিক বাদী হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে এবং অস্ত্র আইনে ও তাদের বিরুদ্ধে থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।

তিনি আরও বলেন, রমজানে মহেশখালীর আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মহেশখালী থানা পুলিশের টহল জোরদার রয়েছে। আশা করি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মানুষ ইদ উৎযাপন করতে পারবে।

Exit mobile version