parbattanews

মহেশখালীতে তরুনী ধর্ষণের মামলায় ২ জনপ্রতিনিধি গ্রেফতার!

দুইজন প্রতিনিধিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলার চালিয়াতলিতে চাঞ্চল্যকর তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় কালারমারছড়া ইউনিয়নের দুইজন জনপ্রতিনিধিকে আসামী করে দ্রুত গ্রেফতার করেছে পুলিশ।তারা হলেন- কালারমারছড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার  লিয়াকত আলী এবং একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১,২,৩ নংওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার খতিজা বেগম। তারা দুজনই এজাহার নামীয় আসামী হয়েছেন।

এই ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা চেষ্টার অভিযোগে তারা অভিযুক্ত হয়েছেন। তাদেরকে ইতিমধ্যে শুক্রবার রাতে পুলিশ  গ্রেফতার করেছে। এই নিয়ে এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, চাঞ্চল্যকর ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টায় মামলটি দায়ের করেন। ওসি জানান, ধর্ষিতা নিজে বাদি হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহারটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। মামলায় স্থানীয় মেম্বার লিয়াকত আলী ও খতিজা বেগমকে আসামী করা হয়েছে। এবং তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে এই ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে নলবিলা মাঝের পাড়ার আবদুর রশিদের পুত্র ধর্ষক মনু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ওই এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

তথ্যমতে, গত ৭ জুলাই রাতে ওই তরুণী চট্টগ্রামের কর্মস্থল থেকে নানার বাড়ি মাতারবাড়ি আসার পথে তাকে পাহাড়ে তুলে ধর্ষণ করে নলবিলার আমির সালাম, এনিয়া সিএনজিচালক আদালত খাঁ ও ওসমানগণিসহ ১৪ জন। কিন্তু এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে মিশন নিয়ে নামে মাতারবাড়ির সড়কের সিএনজি লাইনম্যান রশিদ ও স্থানীয় মেম্বার লিয়াকত আলীসহ একটি চক্র। তবে শুক্রবার ঘটনাটির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিকালে মাতারবাড়ি থেকে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হচ্ছে এবং অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Exit mobile version