parbattanews

মহেশখালীতে রেল লাইনের জমি অধিগ্রহনের খবরে ঘর তৈরির হিড়িক

দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী যেখানে সরকারের উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ একাধিক প্রকল্পের জন্য বহু জমি অধিগ্রহন করেছে সরকার। সম্প্রতি সময়ে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের চিকনী পাড়া থেকে ঝাপুয়া বাজারের পশ্চিমে হালচাষের জমিনের উপর স্থাপিত হচ্ছে রেল লাইন। প্রস্তাবিত রেল লাইনের জন্য চলছে জমি অধিগ্রহণের কাজ।

অভিযোগ উঠেছে এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার জন্য একটি প্রভাবশালী দালাল সিন্ডিকেট জমি মালিকদের সাথে আতাত করে সম্প্রতি বেশ কিছু টিনের নতুন ঘর নির্মাণ ও নলকূপ স্থাপনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে পুরো উপজেলায় চলছে তোলপাড়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কালারমারছড়া ইউনিয়নের চিকনি পাড়া বাজারের পশ্চিমে বয়ে গেছে আকাঁবাকা গ্রামীন সড়ক উক্ত সড়কের শেষ প্রান্তে বুক চিরে হালচাষের জমিও বসত বাড়ির উপর দিয়ে নির্মিত হচ্ছে রেল লাইন।

এ রেল লাইনের জায়গার জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজও চলমান। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কক্সবাজার এল ও অফিস মুখী স্থানীয় একটি দালাল সিন্ডিকেট সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অগোচরে রাতের আধারে ইতিমধ্যে শতাধিক নতুন করে ঘর ও নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে এবং আরও চলমান রয়েছে।

ঘর নির্মাণকারী মিজান, রবি, বাহাদুর, আহমদ ছফা, সিরাজ ও সৈয়দ আহমদ এর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, অবকাঠামোর টাকাসহ ভূমির ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য তারা এ ঘর নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চলছে বিভিন্ন কানাঘুষা।

মহেশখালী প্রশাসনের একাধিক সূত্রে জানা যায়, ২২ জুন ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। সরকারী টাকা আত্মসাৎ করার কৌশল হিসেবে যারা ঘর নির্মাণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মহেশখালীতে দায়িত্বরত রেল লাইনের প্রকল্প পরিচালক আবিদুর রহমান বলেন, নতুন করে ঘর নির্মাণ করছে বলে আমি অবগত নই, তবে বিষয়টি খবর নিয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর নতুন করে ঘর নির্মাণ করে ক্ষতিপূরণের নামে সরকারী অর্থ অপচয় হতে দেওয়া যাবেনা।

মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, রেল লাইন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমিতে কেউ যদি নতুন করে ঘর নির্মাণ করে থাকে তা আইনত অপরাধ। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে দ্রুত সময়ে।

Exit mobile version