মহেশখালীতে স্কুল ভবন নির্মাণে অনিয়ম
মহেশখালীতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে চালিয়াতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি ওই ভবনের ছাদ দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ার পাশাপাশি ছাদটি ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষকরা। এছাড়া ছাদ থেকে খসে পড়ছে বিভিন্ন অংশ।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৬২টি নতুন স্কুল কাম দূর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র ভবন এবং সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজের আওতাধীন মহেশখালী চালিয়াতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।
ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে আনুমানিক- ৪ কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭শত ২৯টাকা। মেসার্স ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান কাজটি পেয়ে এ ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। কিন্তু সিলেটের বালির সাথে স্থানীয় বালি ও সিলেটের পাথরের সাথে পার্বত্য বান্দরবন জেলার পাহাড়ি পাথর সংমিশ্রণ করে ওই ভবন নির্মাণ কাজে ব্যবহার করছে।
এছাড়া ঢালায় কাজে ভাইব্রেশন মেশিন ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও লোক দেখানো মতে করেছে মাত্র। বেশির ভাগ ঢালায় করে থাকেন রাতের আঁধারে। অপর দিকে মরিচা ধরা লৌহায় সিরিজ মারার কথা থাকলেও তা না করে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে ওই ভবন নির্মাণ কাজে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠছে শুরু থেকেই।
এ অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে চালিয়াতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল কাদের জানান, অদক্ষ, অযোগ্য স্থানীয় একজন পাইপ মিস্ত্রি ওই কাজের সাব ঠিকাধারী নিয়ে এ কাজ করায় ছাদ দিয়ে চুষে চুষে পানি ঝরছে। তিনি এ বিষয়টি বহুবার সংশ্লিষ্ট ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানকে বললেও তা শোনেও না শোনার ভান করে এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
অপর দিকে ওই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ফেরদৌস চৌং’র পুত্র পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রহিম কাউছার জানান, ঢালায় কাজে উপজেলা প্রকৌশলীর একজন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কংক্রিট, বালি ও সিমেন্ট মিশিয়ে যেভাবে করার কথা, কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের প্রতিনিধি ছাড়া ওই ঢালায় কাজ করে যাচ্ছে যেনতেন ভাবে। যার ফলে ভবন নির্মাণ কাজে বিভিন্ন অনিয়ম হলেও তা নিয়মে পরিনত হচ্ছে।
স্থানীয় এমইউপি সদস্য লিয়াকত আলী জানান- ওই ভবনের ছাদ ঢালায় কাজ শেষ হতে না হতে ছাদ দিয়ে চুষে চুষে পানি পড়ায় তা টেকশই নিয়ে এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের মাঝে বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এব্যাপারে মহেশখালী উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমারকে ফোন করলে ফোনে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।