মহেশখালীতে হত্যার ২মাসেও আটক হয়নি আসামি, উল্টো বাদী এলাকাছাড়া

fec-image

মহেশখালীতে আলোচিত মুক্তিযোদ্ধা পুত্র মনোয়ার কায়সার ছিদ্দিকী রুবেল হত্যা মামলার আসামীরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। ঘটনার দুই মাস অতিবাহিত হলেও মামলার আলোচিত কোন আসামীই গ্রেপ্তার না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ ঘটনায় আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর ভূমিকা পালন করছেনা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

বুধবার (২৬ আগস্ট) মহেশখালী ‍উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এ বিকাল সাড়ে তিনটায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করেছে রুবেলের পরিবার।

নিহত রুবেলের মা মাসুদা খাতুন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “প্রায় দুইমাস হতে চলেছে কোনো আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অথচ আসামীরা প্রতিনিয়ত আমাদের পরিবারে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। হত্যা মামলা আপোষ না করায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে এমন খবরও পাঠাচ্ছে। অথচ সেখানে পুলিশ নিরব।

তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে আরও বলেন, হত্যার পর আসামীদের ভয়ে জাগিরাঘোনার বাসায় থাকতে পারছিনা, এখন থাকতে হচ্ছে কালারমারছড়া বাসায়। তিনি শংকিত বলে উল্লেখ করে বলেন, ইতিমধ্যে ছোট ছেলে বড় মহেশখালী দিয়ে আসা যাওয়ার পথে ইউপি সচিবের চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। আরেক ছেলে শিক্ষক সোহেল কায়ছার প্রাণের ভয়ে উপজেলার ডরমেটরীতে রাত কাটায় অথচ আমার এবং আমার ছেলেদের সব আছে কিন্তু কেড়ে নিয়েছে খুনিরা। আমার পরিবার এখন সর্বশান্ত। আমি এর  দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নিহত রুবেলের পিতা আবু জাফর ছিদ্দিকী, মাতা মাসুদা বেগম , মহেশখালী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (সাবেক) সালেহ আহমদ, সাবেক উপজেলা কমান্ডার আমজাদ হোসেন, ডেপুটি কমান্ডার ফিরোজ খান, ডেপুটি কমান্ডার ডা. সলিম উল্লাহ খান।

জানা যায়, গত ২৪ জুন সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার পূর্ব জাগিরাঘোনার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সিরাজ, আলম পাশা, জাহাঙ্গীর আলম, শাহ আলম, আবু বক্কর, রাশেদ সহ ১৫/১৬ জনের সংঘবদ্ধ সসস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাড়ীতে ঢুকে কুপিয়ে মনোয়ার ছিদ্দিকী রুবেলকে মারাত্মক ভাবে আহত করে। পরের দিন ২৫ জুন সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুবেল মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. সরওয়ার কায়সার সোহেল বাদী হয়ে গত ২৭ জুন ১৬ জনকে আসামি করে মহেশখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-১৮, জিআর-১১২/২০।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আটক, আসামি, হত্যার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন