মহেশখালীতে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ
মহেশখালী ইউনিয়নে একটি বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দিলেন মহেশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা। গতকাল রাতে মেহেদি হয়ে গেলেও আজ কিশোরী বধুকে ঘরে তোলার আয়োজন শুরুর মুহুর্তে প্রশাসনের হানা।
কিশোরী রিয়াজুন নাহার(১৫) বড় মহেশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। তিনি বড় মহেশখালীস্থ বড় ডেইল গ্রামের আজিজুল হক ও কামরুন নাহারের মেয়ে। পাত্রের নাম জসিম উদ্দিন(২৬), সে বড় মহেশখালীস্থ মঞ্জুর আহমেদ ও শামশুন নাহারের ছেলে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার তাদের বাল্য বিবাহ হচ্ছে, গোপনে এমন সংবাদ পেয়ে মহেশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এসময় বড় মহেশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে তাদের ছাত্রীকিনা তা যাচায় করেন। যাচায় কালে বাল্য বিবাহ হতে যাওয়া রিয়াজুন নাহার অত্র বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী তার সত্যতা পায়। ছাত্রীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মা এবং মেয়েকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে হবুবর জসিমের বাড়ীতে অভিযান চালানো হয়। বর, পিতা-মাতাসহ বাড়ীর সকলেই পলাতক থাকায় কাউকে আটক করা যায়নি।
মহেশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা’র আদালত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার সময় সার্বিক বিষয় আমলে নিয়ে বাল্যবিবাহ দিতে যাওয়ার দায়ে ছাত্রী রিয়াজুনাহারের পিতা আজিজুল হক কে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছেন। নগদ তা পরিশোধ করে বাড়ীতে ফিরে যায় বাল্য বিবাহ দিতে যাওয়া ছাত্রী ও অভিভাবকরা।
বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা’র সাথে ছিলেন মহেশখালী থানার এসআই মুজিবুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি ইউনিট।
এসময় উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে মহেশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার বলেন, বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। গরীব পিতার ছেলে মেয়েরা পড়া লেখা করলে, তারা বোঝা না হয়ে সম্পদে পরিণত হবে। আসুন আমরা সকলে মিলে বাল্য বিবাহকে না বলি। জনসচেতনতা গড়ে তুলি।
বড় মহেশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের ভর্তি সময় প্রতিটি ছাত্রীর অভিবাবকরা তার মেয়েকে এসএসসি পাশের আগে বিয়ে না দিবে মর্মে অঙ্গিকার নামা পুরন করানো হয়। তিনি এই ধরনের কাজের তিব্র প্রতিবাদ জানান।