parbattanews

মহেশখালীর আদিনাথ মন্দিরে শিব চতুর্দশী পূজা শুরু

unnamed copy
মহেশখালী প্রতিনিধি:

ঐতিহাসিক পৌরানিক কাহিনী মতে ষোড়শ শতাব্দিতে নির্মিত উপমহাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের মহা তীর্থ মহেশখালীর মৈনাক পর্বতের চুড়ায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী আদিনাথ মন্দিরে শিব চতুর্দশী পুজা উপলক্ষে শিব দর্শন ও মেলা শুক্রবার থেকে পূর্ণউদ্দাম শুরু হয়েছে।

শুক্রবার সকাল থেকে দেশ বিদেশের হাজার হাজার পূজারীরা এসে জমা হয়েছে মৈনাক পর্বতের পাদদেশে। শুক্রবার রাত ৯টা থেকে শুরু হয়েছে শিব দর্শনের লগ্ন। প্রতি বছর ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশীতে দেবাদি দেব শিবের আর্শীবাদ লাভের আশায় হিন্দু বৌদ্ধ তথা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শিব দর্শন পূজা করে থাকে। এ বছর শিব চতুর্দশী পুজার মূল দর্শনের লগ্ন নির্ধারিত হয়েছে শুক্রবার রাত ৯টায় লগ্ন শুরু শনিবার রাত ৯টায় শেষ হবে।

তবে মূল পর্বের পরেও ৩ দিনব্যাপী পূজা ও দর্শন উৎসব চলবে। আদিনাথ মন্দির সংস্কার কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রনব কুমার দে সূত্রে এতথ্য জানা গেছে। শিব চতুর্দশী পূজা উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও মৈনাক পর্বতের পাদদেশে আগামী ৭দিনের জন্য বসেছে গ্রামীন লোকজ মেলা।

এ মেলা বিগত আনুমানিক দু’শ বছরেরও আদিকাল থেকে আদিনাথ মেলা নামে পরিচিতি লাভ করে। প্রতি বছররের ন্যায় এ বছরও শিব চতুর্দর্শী পূজা ও মেলা উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও শ্রীলংকা থেকে হাজার হাজার পূজারী ও ভক্তবৃন্দসহ লক্ষ পূজারী এসে জমায়েত হয়েছে মৈনাক পর্বতের পাদদেশে।

শ্রী শ্রী আদিনাথ মেলা সুপারভাইজিং কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, আদিনাথ মেলা সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে শান্তি লাল নন্দীকে সাধারণ সম্পাদক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিভিষন কান্দি দাশকে মেলা সুপার, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশকে প্রধান সমন্বয়ক ও যিশু চৌং কে অর্থ সম্পাদক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট মেলা সুপারভাইজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সুপারভাইজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক শান্তি লাল নন্দী জানান, আদিনাথ মেলায় এ বছর যাত্রা সার্কাস হাউজীসহ কোন ধরনের জুয়া ও বিনোদন মূলক ব্যবস্থা থাকবে না। মেলায় পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প রয়েছে বলেও জানান, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ।

এছাড়াও রয়েছে পুলিশের সার্বক্ষনিক টহল টিম। উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত মতে এ মেলা চলবে ৭ দিনব্যাপী। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, তীর্থ যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে নৌ-যান ও সড়ক পথে যানবাহন ভাড়া নির্ধারণ সহ তীর্থ যাত্রীদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এ মেলায় ইতিমধ্যে প্রায় দুই শতাধিক মনোহারি পণ্যের  দোকান বসেছে। প্রায় লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ ঘটতে পারে এ মেলায়। এদিকে শুক্রবার  বিকাল থেকে দেশ বিদেশের পূজারীরা আসতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে মেলা অঙ্গন উৎসবে রুপ নিতে শুরু করেছে। আজ আরও বাড়তে পারে পূজারীর সমাগম।

Exit mobile version