parbattanews

মহেশখালীর বিভিন্ন সড়কে সিএনজি মালিক সমিতির নামে বেনামে টাকা আদায়

মহেশখালী উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ৬টি সিএনজি গাড়ির লাইন থেকে দৈনিক চাঁদা হিসাবে উত্তোলন করা টাকার কোন হদিস নেই। সিএনজি মালিক সমিতির ব্যানারে একাধিক স্টেশনের লাইনম্যানগণ প্রতিজন ড্রাইভার থেকে মালিক সমিতির নাম দিয়ে বছরের পর বছর টাকা উত্তোলন করে যাচ্ছে। তবে এই অর্থ যাচেছ কার পকেটে তার কোন হদিস নেইা ।

জানা গেছে, মো. রফিক (লাইনম্যান) গোরকঘাটা সিএনজি স্টেশন ২ হাজার টাকা, মো. বাবুল (লাইনম্যান) গোরকঘাটা সিএনজি স্টেশন দেড় হাজার টাকা, মো. খোরশেদ (লাইনম্যান) হোয়ানক টাইম বাজার স্টেশন দেড় হাজার টাকা, মো. মোস্তফা (লাইনম্যান) কালারমারছড়া বাজার দেড় হাজার টাকা, মো. মজিদ (লাইনম্যান) ও আমির উদ্দিন (লাইনম্যান) মাতারবাড়ী সিএনজি স্টেশন দুই হাজার টাকা, মো. জাহাঙ্গীর (লাইনম্যান) বদরখালী স্টেশন ৪ হাজার টাকা এবং মো. কফিল (লাইনম্যান) বদরখালী স্টেশন ২ হাজার টাকা করে প্রায় দৈনিক ১৪,৫০০ টাকা চাঁদা উত্তোলন করে থাকে। যা বাৎসরিক চাঁদার পরিমাণ হয়ে দাঁড়ায় আনুমানিক প্রায় ৫২ লাখ ২০ হাজার টাকা। এই বিশাল অর্থ প্রতি বছর কার পকেটে যায় তার কোন হদিস নেই বলে জানান একাধিক সিএনজি চালক। তাদের অভিযোগ লাইনম্যানগণ প্রতিদিন যে পরিমান অর্থ উত্তোলন করে তাকে তার কোন হিসাব তাদের কাছে নেই, কোন গাড়ি চালক বিপদে পড়লে তাদের কোন মাথা ব্যাথাও নেই, তারা মূলত এই বিশাল অর্থ আত্মসাতের পায়তারা করে থাকে।

এদিকে কালারমারছড়া ইউনিয়নের ঝাপুয়া এলাকার গিয়াস উদ্দিন (৪২), পিতা- মো. হোছাইন কালারমারছড়া (০১৮৬৬-৩৩১৩৫৯) গত ১ মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে বলেন, কোন ড্রাইভারকে বিপদে-আপদে সাহায্য সহযোগীতা করেনা। উল্লেখ্য যে, এই টাকাগুলো কার কাছে জমা থাকে বা কোন খাতে খরচ হয় তা আমি বা অন্যান্য ড্রাইভারগণ বা মালিকরা জানিনা।

উক্ত টাকার বিষয়ে হিসাব চাইলে উল্লেখিত লাইনম্যাণ ড্রাইভার ও মালিকদেরকে গালিগালাজ সহ হয়রানী করে থাকে। এমনকি উল্লেখিত বিবাদীদের বিরুদ্ধে কোথাও অভিযোগ করলে তারা ড্রাইভারকে মারপিট সহ হাত-পা কেটে ফেলার এবং গাড়ি চালাতে না দেওয়ার ও মাদক দ্রব্য এবং অবৈধ অস্ত্র দিয়ে মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে থাকে।

আরও উল্লেখ্য থাকে যে, আমরা কোন ড্রাইভার যদি সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হই, সেই বিষয়টি সমাধান করার জন্য কোন নেতা খুঁজে পাইনা, বরং নিজেদের সমস্যা নিজেদেরকে সমাধান করে নিতে হয় এটি খুব দুঃখজনক। আমাদের কাজ থেকে নেওয়া টাকার সঠিক হিসাব চাই। এই অবস্থায় আমরা চালকগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মাহফুজুর রহমান বলেন, এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দিয়েছে সিএনজি চালকগণ, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

Exit mobile version