parbattanews

মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেল থেকে অস্ত্রসহ ২ জলদস্যু আটক

সাগরের সোনাদিয়া চ্যানেলে র‌্যাব-১৫ অভিযান চালিয়ে ৩ টি দেশীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ দুই জলদস্যুকে আটক করেছে র‌্যাব। আটক জলদস্যুরা হলেন কুতুবদিয়া চেইন্দারপাড়া এলাকার নাজের হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ রাশেদ ও একই এলাকার আবু তৈয়বের ছেলে মো: মিজান। রোববার (৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে গভীর সমুদ্র থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

র‌্যাব-১৫ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট টেকনাফ শাপলাপুরের পশ্চিমে গভীর সমুদ্রে জলদস্যুরা ৫০ জন জেলেসহ ১৫/২০ টি মাছ ধরার বোটে, তাদের আহরণকৃত মাছ এবং জালসহ আটকে রেখে তাদের পরিবারের কাছে ফোন করে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করে। জেলেদের পরিবার কর্তৃক মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হলে জলদস্যুরা তাদের মারধরসহ অমানবিক অত্যাচার করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

এর সূত্র ধরে রোববার (৮ আগস্ট) রাতে অপহৃত জেলেদের উদ্ধার ও জলদস্যুদের আটক করার জন্য অভিযানে নামে র‌্যাব-১৫ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল। অভিযানের একপর্যায়ে জলদস্যুরা অপহৃত জেলেসহ মহেশখালীর সোনাদিয়া প্যরাবনে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঐ স্থানে পৌছায় র‌্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল। পরে ২ জন জলদস্যুকে সোনাদিয়া চ্যানেলে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে জলদস্যুদের হেফাজত হতে ৩টি দেশীয় একনলা বন্দুকসহ ৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার র‌্যাবের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী জানান, আটককৃত জলদস্যুদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। পলাতক জলদস্যুদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

এদিকে গত ৮ আগস্ট সকালে সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে কুতুবদিয়ার বেশকজন জলদস্যু কৌশলে সরে যাওয়ার মুহুর্তে স্থানীয়রা দাওয়া করে ৩ জলদস্যুকে আটক করে মহেশখালী থানা পুলিশের কাছে র্সোপদ করেন। পুলিশ জানায় তাদের বিরুদ্ধে বেশ ক’টি মামলা রয়েছে তাদের কুতুবদিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Exit mobile version