parbattanews

মহেশখালীর ১০ গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত, চিংড়ি ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও পূর্নিমার জোয়ারে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি, ধলঘাটা, পৌরসভার ও কুতুবজোম ইউয়িনের বেড়িবাঁধের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকালয় প্লাবিত হয়েছে।

বুধবার (২৬ মে) সকালে প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩/৪ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হওয়ায় ভাঙ্গন, বেড়িবাঁধের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে সাগরের লোনা পানি মহেশখারী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। ৩ ইউনিয়নের ১০ গ্রামের হাজারো মানুষ এই পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।

মাতারবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পূর্নিমার জোয়ারের পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেশি হওয়ায় ৭০নং হোল্টারে ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে বসতভিটা ও চিংড়ি ঘের তলিয়ে যায়। এতে দ্বীপের চিংড়ি ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ফলে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে চাষিরা।

ধলঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াশের প্রভাবে বুধবার সকাল থেকে বৃষ্টি ও বাতাসের তীব্রতা বেড়েছে। তার উপর পূর্নিমার কারণে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে সাগরের পানির উচ্চতা কয়েক ফুট বেড়েছে। এতে তার ইউনিয়নের সরই তলা গ্রামের বেড়িবাঁধ বিভিন্ন অংশ দিয়ে পানি ঢুকে পড়ে লোকাল প্লাবিত হয়েছে। মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কুতুবজোম ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসনে খোকন জানান, সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিমে কয়েক’শ ঘর-বাড়ি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মানুষের সহায়-সম্পদ রসাগরের জোয়ারের লোনা পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও কুুতবজুম ও সোনাদিয়ার বেশ কটি চিংড়ি ঘেরের ব্যাপক ভাবে ক্ষতি হয়েছে।

মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়া জানান, আমার পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিমে ভাঙ্গা বেড়িবাধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ কয়েক ৪০টি বাড়ি প্লাবিত হয়েছে। আমরা তাদের ত্রাণ সহায়তা প্রদান করছি।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান জানান, মহেশখালী দ্বীপের মাতারবাড়ি, ধলঘাটা, কুতুবজোম, পৌরসভার কয়েকটি অংশে ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাগরের জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব এলাকার ৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু চিংড়ি ঘেরের ক্ষতি হয়েছে জোয়ারের পানির কারণে।

বুধবার সকালে তিনি সরেজমিনে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শন করছেন। এসময় সাথে ছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মর্কতা রাশেদুল ইসলাম, ওসি আবদুল হাই সহ পুলিশের একটি টিম।

Exit mobile version