parbattanews

মহেশখালী টু কক্সবাজার নৌপথে ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

মহেশখালীর মানুষের সবচেয়ে বড় দুঃখ এই জেটিঘাট এখানে অনিয়ম এখন নিয়মে পরিনত হয়ে আসছে।
মহেশখালী টু কক্সবাজার নৌপথে স্পীডবোট ও গামবোটের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।

সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন এর প্রাদুর্ভাব ও সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি রোধ, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মহেশখালী টু কক্সবাজার নদীপথে স্পীডবোট ও গামবোট এর যাত্রী সংখ্যা কমিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

স্পীডবোট ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ টাকা। যা পূর্বের ভাড়ার চাইতে ৩৫ টাকা বেশি। যদিও এখন যাত্রীসংখ‍্যাও কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ০৬ জন। যা আগে ছিল ৯ থেকে ১১ জন। গামবোটের ক্ষেত্রেও যাত্রী সংখ্যা কমিয়ে বৃদ্ধি করা হয়েছে ভাড়া। ভাড়া বৃদ্ধি করে ৩০ টাকা থেকে করা হয়েছে ৪০ টাকা। যাত্রী সংখ্যা ৪০ থেকে কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ জন।

এ নৌ-পথে নিয়মিত চলাফেরা করে হাজার হাজার মানুষ। কেউবা পাড়ি জমায় কক্সবাজার শহরে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে, কেউবা চাকুরিতে, কেউবা অফিস-আদালতের বিভিন্ন কাজে। আর কেউই বা জোগান দিতে তার রোজকার আহারের। তবে মাঝেমধ্যে কক্সবাজার হতে মহেশখালীগামী পর্যটকরা তো আছেই। তবে বলা চলে এ পথে যাত্রীদের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষই খুব সাধারণ। যাদের অধিকাংশেরই সংসার চলে দৈনিক আয়ে। আর তাই ই জেলা প্রশাসনের এমন অবান্তর সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষুব্ধ তারা। এ সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ সচেতন মহলও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এনিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি তো চলছেই। বইছে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের মহা সমারোহ।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধের অজুহাতে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের দূরত্বের এ সামান্য পথেই হঠাৎ এভাবে ভাড়া বৃদ্ধি করা মানে জনসাধারণের পেটে লাথি মেরে শোষক সিন্ডিকেটের পেট তরতাজা করা। গণপরিবহন এবং বাজারঘাটের জনসমাগমের অবস্থা দেখলেই তা বোঝা যায়। যদি সত্যিকার অর্থেই কক্সবাজার জেলা প্রশাসন করোনা সংক্রমণ রোধে সচেষ্ট হতেন- তাহলে নদীপথে ভাড়া বৃদ্ধির চাইতে অধিক গুরুত্ব দিতেন, জনসমাগম ঘটে এমন বিষয়গুলিই প্রতিই। এমনই মন্তব্য করছেন সাধারণ মানুষ। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বর্ধিত এ ভাড়া প্রত‍্যাহারের দাবী তুলেন। দাবী তুলেন জেলা প্রশাসনকে সত্যিকার অর্থেই জনসমাগম ঘটে এমন বিষয়সমূহের প্রতি সচেষ্ট হতে।

প্রতিদিন নৌপথে কক্সবাজারে থেকে মহেশখালীতে চাকুরী করতে আসা নজরুল ইসলাম জানান, করোরা ভাইরাস কি শুধু স্পিটবোটে এটি একটি অযুহাত, বানিজ্য মেলাতে প্রচুর মানুষ চলাফেরা করছে কই তাদের জন্য তো কিছু করেনা।

মহেশখালী হতে নদি পথে কক্সবাজার চাকুরী করতে যাওয়া মারুফ হাসান জানান, মহেশখালীর এই সমম্যাটি দীর্ঘদিনের একটু করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলে স্পীটবোটের যাত্রীদের ভাড়া বৃদ্ধি করাটা কোন ভাবে কাম্য নয়।

স্পীটবোট চালক রিয়ান, গফুর সহ অনেকেই জানান, বর্তমানে তেলের দাম বেশি প্রশাসন করোনা সংক্রমন যেনো বৃদ্ধি না হয় সেই কারনে ৯ জনের স্থানে ৬ জন করেছে সেই জন্য ভাড়া বেড়েছে এটি জেলা প্রশাসনের অধিনে চলে।

এই বিষয়ে বক্তব্য নিতে ফোন রিচিভ করেনি, মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার ভারপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম।

Exit mobile version