মহেশখালী দ্বীপের উন্নয়ন দেখবে সারা দেশের মানুষ: সচিব হেলালুদ্দীন

fec-image

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেছেন, জেলার একমাত্র দ্বীপ হিসাবে সারা বিশ্বের কাছে যেমন পরিচিত তেমনিভাবে প্রধানমন্ত্রীর সু-নজরে পড়ার কারণে এই দ্বীপের উন্নয়ন নিয়ে সাধারণ মানুষের চিন্তা করতে হবেনা। যা ইতি মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে আপনারা দেখেছেন।

তিনি বলেন, সরকারের সব চেয়ে মেগা প্রকল্পের সিংহভাগ উন্নয়ন হচ্ছে মহেশখালী দ্বীপে। সেই কারণে এই দ্বীপকে ঘিরে সরকারের উন্নয়নের চিত্র দেখবে সারা দেশের মানুষ। দ্রুত সময়ে একটি আধুনিক জেটি, আধুনিক মানের টেকসই সড়ক ও ৪টি স্কুল কাম সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ কাজ শুরু হবে, যার ব্যায় ধরা হয়েছে ১২৩ কোটি টাকা। এছাড়াও জাপানের উন্নয়ন সংস্থার জায়কার অর্থয়ানে ২শ কোটি টাকার উন্নয়ন চলমান রয়েছে মহেশখালী উপজেলায়।

মহেশখালী মাতারবাড়ি অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথাগু বলেন তিনি।

মহেশখালী উপজেলা পরিষদ হল রুমে শনিবার ১৬ (জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা একাডেমির পরিচালক সচিব আবুল কাসেম, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাফুজুর রহমান , উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফ বাদশা, মহেশখালী পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া।

এছাড়াও বিগত বছরের আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে চিত্র তুলে খোলামেলা আলোচনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এম আজিজুর রহমান বিএ, কালারমার ছড়ার ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বীন ওসমান শরিফ, ধলঘাটার কামরুল হাসান, মাতারবাড়ির মোহাম্মদ উল্লাহ, কুতুবজোমের মোশাররফ হোসেন খোকন, শাপলাপুর আবদুল খালেক, মাতারবাড়ির আওয়ামী লীগ সভাপতি জিএম ছমি উদ্দীন, মুক্তিযুদ্ধা সালেহ আহমেদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী সুবজ কুমার দে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মর্কতা রাশেদুল ইসলামসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ও সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা বৃন্দরা।

এদিকে মহেশখালী পৌরসভার আয়োজনে পৌর মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়ার সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন,  গ শ্রেণি থেকে ঘ শ্রেণি হওয়ার পর থেকে মহেশখালী পৌরসভায় সড়ক বা কালভাটের যে উন্নয়ন হয়েছে তা কোন পৌরসভায় হয়নি। ফলে মহেশখালী পৌরসভাকে ক শ্রেণীর পৌরসভায় উন্নীত করা হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে আপনাদের এমপি ও পৌর মেয়রের অক্লান্ত পরিশ্রম ছিলো, এখন থেকে মহেশখালী পৌরসভার প্রতিটি সড়কে আলোকিত করা হবে এবং পানি নিষ্কাশণ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে প্রতিটি ওর্য়াডে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে যথাযথ বরাদ্দ দেয়া হবে।

মহেশখালী পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র ঘোনাপাড়ায় নব নির্মিত অহনা কনভেনশন হলে আয়োজিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা একাডেমির পরিচালক সচিব আবুল কাসেম, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধিও উপজেলার বিভিন্ন স্তরের কর্মর্কতাগণ, সাংবাদিক ও সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দরা। নাগরিক সমাবেশে পৌর মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া পৌরসভার পক্ষ থেকে সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন কে স্বর্ণ দিয়ে তৈরি করা পৌরসভার মানচিত্র উপহার দেন।

এরা আগে উপজলো প্রশাসনের কার্যালয়ে অসহায়, দরিদ্র, গরীব মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন আগত অতিথিবৃন্দরা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন