মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়নে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ

fec-image

মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম সংক্রান্ত উন্নয়ন কাজ স্থানীয় পর্যায়ে সমন্বয়ের জন্য গঠিত কমিটির মাসিক সভা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে রবিবার (২৫ আগস্ট) দুপুর ২টায়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা, মহেশখালী কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও কর্মকর্তা এবং ধলঘাটা মাতারবাড়ি চেয়ারম্যানসহ কমিটির সদস্যরা। উন্নয়ন কাজে বেশকিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

মাতারবাড়ি ধলঘাটা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র: শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ এর টাকা গ্রহনের ক্ষেত্রে আর কোন জমির মালিকদের প্রত্যায়ন লাগবেনা, ফলে শ্রমিকগণ স্বাধীনভাবে টাকা তুলতে পারবেন তাদের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দিয়ে। অধিগ্রহণকৃত সব ধরনের উপকারভোগীদের টাকা প্রদানে খুব দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জাইকার প্রতি নির্দেশ প্রদান করা হয়।

৫০ টি ছিন্নমূল পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের কাজ সমাপ্তির পথে। ইতিমধ্যে ১০ টি ঘরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, বাকি গুলো খুব দ্রুত সম্পন্ন করে পূর্নবাসনের কাজ সমাপ্ত করা হবে। ছিন্নমূল ৪৮টি পরিবারের মধ্যে প্রতি পরিবারের ১ জন করে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক পূর্নবাসনের অংশ হিসাবে কোল পাওয়ার কর্তৃপক্ষ অধিকাংশজনকে চাকরি প্রদান করেছেন এবং যে কয়জন এখনো চাকরি পাননি খুব দ্রুত তাদেরকেও চাকরি প্রদান করবেন।

স্পেশালাইজট টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যা চাইল্ল্যাতলি আশে পাশেই স্থাপনা করা হবে এখন শুধু জমি নির্ধারণ করাটাই বাকি যা আগামী এক মাসের মধ্যেই চুড়ান্ত করা হবে। ধলঘাটা ইউনিয়নের বনজামিরা পাড়া সংলগ্ন বন্ধ সূইচ গেইট খুলে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যা অতিস্বত্ত্বর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রকল্প ধলঘাটা কালারমারছড়া: এই প্রকল্পের অধিনের আওতায় ধলঘাটার বধূয়া ঘাট থেকে শরইতলা পাড়া পর্যন্ত সিপিপি কর্তৃক নির্মিত সড়কটি স্থায়ীভাবে অধিগ্রহণ করে সাধারণ জনগনের চলাচলের রাস্তা হিসাবে ব্যবহার করার উপযোগী করার জন্য এলজিইডি বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। প্রকল্পের জন্য যে অধিগ্রহণ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল তা অতি নগন্য ছিল বিদায় বর্তমান বেঞ্চমার্ক ধরে পূণরায় মূল্য বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাব প্রদান করা হয়।

ধলঘাটা অর্থনৈতিক অঞ্চল: বিএস মূলেই টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিএস এর জমি যাদের খাস হয়ে গেছে তা অনুদান হিসাবে প্রদান করা হবে এই মর্মে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে অনুমোদন ও চলে এসেছে। ধলঘাটা সাপমারারডেইল জেটি নির্মাণের জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে টেন্ডার প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এরই মধ্যেই টিকে গ্রুপের মাধ্যমে একটি অস্থায়ী জেটি ঘাট নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

ধলঘাটায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য পাউবো এবং বেজাকে যৌথভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

বন্দর প্রকল্প: বন্দরের নাম মাতারবাড়ি নামে থাকলেও সেটি পরিবর্তন করে ধলঘাটা বন্দর, বঙ্গবন্ধু বন্দর এবং মহেশখালী বন্দর এই তিনিটির যে কোন একটির নামে নামকরণের অপেক্ষায় রেখেছেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। বন্দরের জমি অধিগ্রহনের মূল্য সময় উপযোগী বর্তমান বেচা কেনা মূল্যের তিন গুণ ধরে মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাব প্রদান করা হয়।

উপরোক্ত বিষয় গুলি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে মহেশখালীর দূর্ভোগ কিছুটা হলেও কমবে বলে স্থানীয়রা জানান।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী লীগ, মহেশখালী-মাতারবাড়ি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন