parbattanews

মাকে বাঁচাতে পানছড়ির মাদ্রাসা ছাত্রের আকুতি

লক ডাউনের কিছুদিন আগে জায়গা-জমি বিক্রি করে বিদেশ পাড়ি জমায় দমদম (তেতুল টিলা) গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে আবদুল মালেক। প্রবাসের রোজগারের টাকায় সুন্দর সংসার সাজবে আর ছোট ছেলে রাকিবুল (১০) মোল্লাপাড়া হেফজ খানা থেকে বড়ো হাফেজ হয়ে বের হবে এটাই ছিল স্বপ্ন। কিন্তু লক ডাউনে প্রবাসে আবদুল মালেক যেমনি কর্মহীন তেমনি বাড়িতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে স্ত্রী রাহেলা বেগম। বড় ছেলে সিদ্দিক পেশায় একজন দিনমজুর, মেয়ে মালেকার বিয়ে হয়েছে। আরেক মেয়ে সামিয়া পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সবার ছোট রাকিবুল মোল্লাপাড়া হেফজ খানায় অধ্যয়নরত। এই সুন্দর সংসারেই তাদের মা রাহেলা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।

হেফজ পড়ুয়া রাকিবুলের আকুতি আমার মাকে বাঁচান। মায়ের চিকিৎসার জন্য সবাই একটু করে হাত বাড়ালেই দুই লক্ষ টাকা হয়ে যাবে। আমার মা বাঁচলে আমি কোরআনে হাফেজ হতে পারবো। না হয় আমার হাফেজি পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, তার মা রাহেলা বেগমের পায়ুপথের সমস্যার কারণে গত ১৭ মে চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রবীর চৌধুরীর শরণাপন্ন হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর ডা. জানান পায়ুপথে গেজ থেকে টিউমার হয়ে ক্যান্সারে রুপ নিচ্ছে। দ্রুত অপারেশনের মাধ্যমেই এর চিকিৎসা সম্ভব। এতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু এতো টাকা কোথায় পাবে সে চিন্তায় দিশেহারা পরিবারের সদস্যরা। ছোট ছেলের আকুতি আমার মাকে বাঁচাতে সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

৩নং পানছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেন বলেন আমি সহযোগিতার হাত বাড়াব পাশাপাশি সকলে মিলে একটু সহযোগিতা দিলেই রাহেলার চিকিৎসা সম্ভব আর পূর্ণ হবে হাফেজি পড়া শিশুটির মনের বাসনা। বড় ছেলে সিদ্দিকের বিকাশ নাম্বার ০১৮৩০৮৫৪১১৩।

Exit mobile version