মাটিরাঙায় গৃহপালিত গরু-ছাগল শ্বাসরোধ করে মারার অভিযোগ
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার গোমতিতে স্থানীয় কৃষক মো. খোরশেদ আলমের গৃহপালিত গরু-ছাগল চুরি করে গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে মারার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রতিবেশী নেকবর হোসেনের বিরুদ্ধে। রোববার দিবাগত রাতে মাটিরাঙার গোমতির বান্দরছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গরু-ছাগল হারিয়ে পাগল প্রায় মো. খোরশেদ আলম জানান, ঘটনার দিন রাতে বাড়ির সকলে যখন ঘুমিয়েছিল তখন রাতের কোন এক সময় সিদ কেটে গরুর ঘরে প্রবেশ করে একটি গাভী ও একটি ছাগল চুরি করে প্রতিবেশী নেকবর হোসেন। পরে আমার বাড়ির অদুরে ছড়ার পাশে গাছের সাথে বেধে খালে ফেলে দেয়। এতে গাভীটি নির্মমভাবে মারা যায়। একইভাবে খাল পারাপারের সেতুর গাছের সাথে বেঁধে ছাগলটিকে বেধে নিচে ফেলে দেয়। পুর্ব শত্রুতার জের ধরেই মো. নেকবর হোসেন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি মো. খোরশেদ আলমের।
এ ঘটনাকে পরিকল্পিত দাবি করেছেন গোমাতি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মো. মাইন উদ্দিন। তিনি বলেন, মানুষে মানুষে শত্রুতা থাকতে পারে। কিন্তু গৃহপালিত পশুর সাথে এমন শত্রুতা মেনে নেয়ার মতো না। তিনি ঘটনার সাথে জড়িত মো. নেকবর হোসেনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবি জানিয়েছেন।
এ ঘটনার পরপরই সোমবার (২৪ আগষ্ট) বিকালের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মাটিরাঙা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিপন মজুমদার। এমন ঘটনাকে অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত শেষে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে মো. নেকবর হোসেন একইভাবে আরও দুইটি গরু হত্যা করে বলে অভিযোগ করেন মো. খোরশেদ আলম। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত খোরশেদ আলম ২৬ আগস্ট ২০১৯ ইং তারিখে মাটিরাঙা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন।