parbattanews

মাটিরাঙ্গায় চাঁদার দাবিতে কচু ক্ষেত ধ্বংস করলো দুষ্কৃতকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা:

চাঁদার দাবিতে আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে পাহাড়ের স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। বিভিন্ন স্থানে সৃজিত বাগান ও ফসলি জমি নষ্ট করার ধারাবাহিকতায় এবার খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার দুর্গম তাইন্দং ইউনিয়নে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে তিন বিঘা জমির সৃজিত কচু কেটে ফানা ফানা করেছে দুষ্কৃতকারীরা। তাইন্দংয়ের ভাঙ্গামুড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার(১৭ আগস্ট) প্রকাশ্য দিবালোকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও কৃষকদের অভিযোগ, স্থানীয় জমি ও সবজি ক্ষেত মালিকদের কাছে দীর্ঘদিন ধরেই মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে আসছে পাহাড়ের একাধিক আঞ্চলিক স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ। তাদের দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ার কারণেই তারা প্রকাশ্য দিবালোকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

জানা গেছে, তাইন্দংয়ের ভাঙ্গামুড়া এলাকায় স্থানীয় কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে ‘মুখী কচু’ চাষ করে আসছে। চলতি বছর সেখানে কচু চাষ করার পর থেকেই একাধিক আঞ্চলিক স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ চাঁদা দাবি করে আসছে। কিন্তু কৃষকরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা তাদের সৃজিত কচু কেটে ফেলেছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মো. আবদুল গনি মিয়ার। তিনি জানান এসময় সন্ত্রাসীরা আটজন কৃষকের কচু কেটে দেয়। কচু ক্ষেত কেটে ফেলার ফলে তাদের প্রায় দুই লাখ টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রন্ত কৃষক মো. আবদুর রাজ্জাক।

এবিষয়ে জানতে চাইলে তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা জানিয়ে বলেন, যেভাবে জমির কচু ধ্বংস করা হয়েছে তাতে নিঃস্ব হয়ে গেছে কৃষকরা। তার পুঁজি নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবেনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তানাক্কাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের জওয়ানরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান তিনি।

স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কৃষকদের কাছে বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবি করে আসছে এমনটা জানিয়ে তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর বলেন, আঞ্চলিক স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ব দিন দিন বাড়ছে। এমনটা চলতে থাকলে কৃষকদের চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, বিষয়টি লোক মুখে শুনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Exit mobile version