মাটিরাঙায় সেনাবাহিনীর ঈদ সহায়তা বিতরণ

fec-image

বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সারাদেশের ন্যায় পাহাড়েও ছড়িয়ে পড়েছে। আর প্রানঘাতী করোনার প্রভাবে সবচেয়ে বেশী দু:সময় পার করছে প্রান্তিক জনপদের কর্মহীন মানুষগুলো। এ পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে পাহাড়ের কর্মহীন ও হতদরিদ্র মানুষদের প্রতি মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন মাটিরাঙ্গা সেনা জোন।

গুইমারা রিজিয়নের তত্বাবধানে এবং মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের আয়োজনে দলদলি পাড়া, তৈকাতাং, গাইবিংসপাড়া, রসুলপুর ও রাবার বাগান এলাকার হতদরিদ্র শতাধিক মানুষের মাঝে চাউল, আলু, ডাল, পেঁয়াজ, সেমাই ও চিনিসহ ঈদ সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। ঈদ সামগ্রীর সাথে দেয়া হয়েছে শাড়ী, থামি ও লুঙ্গী।

মঙ্গলবার (১১ মে) দুপুরের দিকে গুইমারার দুর্গম শ্বশানটিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মানবিক সহায়তা হিসেবে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।

এসময় মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মোহসীন হাসান, মাটিরাঙ্গা জোনের জোনাল স্টাফ অফিসার মেজর ইফতেখার রিয়াদ ও মেজর কৌশিক জাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশের ন্যায় পাহাড়ের নিম্নআয়ের মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছে। বরাবরই কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনী। তারই ধারাবাহিকতায় সকলের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

সরকার পাহাড়ের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে পাহাড়ের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সকলকে সজাগ থাকতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে পাহাড়ের উন্নয়ন ব্যাহত হবে বলেও জানান গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোয়াজ্জেম হোসেন।

পাহাড়ের কোন মানুষ উৎসব বঞ্চিত না থাকে সেজন্যই হতদরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে জানিয়ে মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মোহসীন হাসান বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ সহায়তা, মাটিরাঙা, সেনাবাহিনী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন