খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা পৌরসভায় বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ চলছে। প্রতিপক্ষের হামলায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহ জালাল কাজলের বড় ভাই নুরু নবীসহ পাঁচজন আহত হয়েছে। জাল ভোট দেওয়া ও হামলার ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহ জালাল কাজল।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৯নং ওয়ার্ড কেন্দ্রের বাইল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষের হামলায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহ জালাল কাজলের বড় ভাই নুরু নবীসহ তিন জন আহত হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব ধলিয়া কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন আহত হয়। পুলিশে লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ একজনকে আটক করে।
বেলা ১১টার দিকে ৪নং ওয়ার্ডে ধলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়।
মাটিরাঙা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. শামসুল হক, বিএনপির শাহজালাল কাজল ও দলের মনোনয়ন না পেয়ে মাটিরাঙা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং মাটিরাঙা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জয়ের ব্যাপারে তিন প্রার্থীই আশাবাদী।
মাটিরাঙা পৌরসভা নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রাজু আহমেদ বলেন, বিগত পৌরসভা নির্বাচনে রক্তাক্ত সহিংসতার অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনে জিরো টলারেন্স নীতিতে খাগড়াছড়ি সদর পৌরসভার মত মাটিরাঙা পৌরসভার নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হবে।