মাটিরাঙ্গায় কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্কুলের সহায়তার চাল আত্মসাতের অভিযোগ

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় একটি বেসরকারি স্কুলের সহায়তার চাল আত্মসাতে অভিযোগ উঠেছে মাটিরাঙ্গা কৃষি অফিসে কর্মরত উপসহকারী ও টেক অফিসার ফখরুদ্দিনের বিরুদ্ধে। উপজেলার বর্ণাল মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহায়তার চাল নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন জানান, বর্ণাল ইউনিয়নের রেশন কার্ডধারীদের অর্থায়নে চলে মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়। এ ইউনিয়নে মোট ৫২৪টি রেশন কার্ড রয়েছে। যেখান থেকে কার্ড প্রতি ১ কেজি সিদ্ধ চাল প্রতি ডিইউতে স্কুলকে দেয়া হয়। সে হারে তিন মাস অন্তর অন্তর স্কুলকে ১৫৭২ কেজি সিদ্ধ চাল দেয়া হয়। কিন্তু এইবার রেশন দেয়ার পর গত ২৬ ডিসেম্বর সে চাল স্কুল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও তা দেননি সংশ্লিষ্ট্য টেক অফিসার ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফকরুদ্দিন। তিনি মাটিরাঙ্গা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরাধীন উপজেলার তবলছড়িতে দায়িত্বরত আছেন।
প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, নির্ধারিত সময় বিদ্যালের চাল না পেয়ে ফখরুদ্দিনকে ফোন করলে ১ জানুয়ারি দেয়ার কথা জানান। তার দেয়া কথা অনুযায়ী ১ তারিখ অতিবাহিত হলে পুনরায় ফোনে যোগাযোগ করলে ৫ জানুয়ারি দেয়ার কথা বলেন। ৫ তারিখ হতে আজ (১৩ জানুয়ারি) পর্যন্ত বহুবার ফোন করেছি। তিনি ফোন রিসিভ না করায় বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জাননো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফকরুদ্দিনকে একাধিক বার ফোন করলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
একাধিক বার দপ্তরে গিয়ে মাটিরাঙ্গা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ আলীকে না পেয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের এখতিয়ার বলে জানান।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মনজুর আলম জানান, বিষয়টি তিনি জানতেন না। আজ (১৪ জানুয়ারি) সকালে অবগত হয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।