parbattanews

মাটিরাঙ্গার শীতার্ত মানুষ পেল উষ্ণতার ছোঁয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশের হাজারো মানুষ যখন ভীড় জমিয়েছে সমুদ্র তীর, ডান্স ক্লাব, টিএসসি, শাহাবাগ বা কোন দামী রেস্টুরেন্টে অপ্রয়োজনে হাজার হাজার টাকা খরচ করে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনে। ঠিক তখন মধ্যরাতে মাটিরাঙ্গার শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমান। তার আন্তরিকতার ফলে বছরের শেষ দিনের মধ্যরাতে উষ্ণতার ছোঁয়া পেল মাটিরাঙ্গার স্বজনহীন পঙ্গু মালেক, নব্বইয়ের কোটা পেরুনো অন্ধ রমুজা খাতুন আর দেলোয়ার হোসেনসহ শীতার্ত মানুষ।

পুরনো বছরকে বিদায় আর নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে মাঝ পৌষের কনকণে শীতের মধ্যরাতে তিনি মাটিরাঙ্গার বিভিন্ন হাটবাজার ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসহায় ও হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের গায়ে জাড়িয়ে দিয়েছেন উষ্ণ কাপড়। উষ্ণ কাপড় পেয়ে আল্লাহর দরবারে দু‘হাত তুলে তার জন্য দোয়া করেছেন অনেকেই।

বিগত বছরের শেষ রাতে শনিবার রাত ১০টার দিকে গুইমারা বাজার ও এর আশে পাশে হতদরিদ্রদের মাঝে শীতের কম্বল বিতরণ করেন বিএম মশিউর রহমান। এসময় তিনি রাস্তার ধারে ফুটপাতে পড়ে থাকা শীতার্ত মানুষের গায়ে শীতের মোটা কাপড় জড়িয়ে দিয়ে তাদের শীত নিবারণের চেষ্টা করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন গুইমারা ইউনিয়ণ পরিষদের চেয়ারম্যান মেমং মারমা ও গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

এরপর রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত তিনি মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাজীপাড়া, পূর্ব কাজীপাড়া,  নবীনগর এবং ২নং ওয়ার্ডের নতুনপাড়া, তাইয়াটিলা এলাকায় বিভিন্ন দরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের মাঝে শীতের উষ্ণ কাপড় বিতরণ করেন। পরে মাটিরাঙ্গা বাজারের বিভিন্ন অলিগলিতে ফুটপাতে পড়ে থাকা সহায়-সম্বল আর গৃহহীন মানুষগুলোকে উষ্ণ কাপড়ে জড়িয়ে ধরেন। আকস্মিক উষ্ণ কাপড় পেয়ে যেন হাতে আকাশের চাঁদ পেয়েছে তারা। তাদের হাসিতে ফুটে ওঠে যেন আত্মতৃপ্তির ঢেকুর।

এসময় তার সাথে ছিলেন মাটিরাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. আলাউদ্দিন লিটন, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী ও মাটিরাঙ্গা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জয়নাল প্রমূখ।

Exit mobile version