মাটিরাঙ্গায় অসহায় কৃষকের ধান কেটে দিল ছাত্রলীগ
আরো সপ্তাহ খানেক আগেই জমির ধান কাটার উপযোগী হলেও অর্থসঙ্কটে নিজের জমির ধান কাটতে পারছিলেন না। পাকা দান কাটতে না পেরে যখন পুজি হারানোর আশঙ্কায় ভুগছিলেন মাটিরাঙ্গার রামশিরার হতদরিদ্র কৃষক মো. মোশাররফ হোসেন। তখন অসহায় কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে মাটিরাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগ।
শুক্রবার (৭ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রোজা রেখে প্রচণ্ড তাপদাহে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার আমতলী ইউনিয়নের রামশিড়ায় হতদরিদ্র কৃষক মো. মোশাররফ হোসেনের ৮০ শতক জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিল তারা।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. তসলিম উদ্দনি রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তালেবের নেতৃত্বে মাটিরাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম হৃদয় ও নাইমুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রিপন, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আরিফ, আমতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক মো: মহসিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈকত মাহমুদ, বর্নাল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো: সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা ধান কাটা কর্মসুচীতে অংশগ্রহণ করে।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কৃষক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, ভাবতেই পারিনি ছাত্রলীগের নেতারা এভাবে আমার পাশে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, আমাদের দুঃসময়ে তাদের এ সহযোগিতা কখনো ভুলার নয়।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তালেব বলেন, অর্থ সঙ্কটের কারণে কৃষক মো. মোশাররফ হোসেন জমির পাকা ধান কাটতে না পেরে বিপাকে পড়ে যান। খবর পেয়ে আমরা এ কৃষকের ধান কেটে দিয়েছি।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. তসলিম উদ্দনি রুবেল বলেন, ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে’ এ স্লোগানকে ধারন করেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে। ভবিষ্যতেই ছাত্রলীগের এমন মানবিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।