parbattanews

মাটিরাঙ্গায় আওয়ামীলীগনেতার কলা বাগান কেটে ফেলেছে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা

https://mail-attachment.googleusercontent.com/attachment/?ui=2&ik=189bda043a&view=att&th=141da0dda2d2bd66&attid=0.1&disp=inline&realattid=file0&safe=1&zw&saduie=AG9B_P9IBagWPJpy7aRKXzWJg_jG&sadet=1382347164665&sads=uVw-SBXpggKUyNjbEHtBZFxG9Ks

নিজস্ব প্রতিবেদক, পার্বত্যনিউজ :

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতিতে স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতার সৃজিত কলা বাগান কেটে ফেলেছে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার রাতে উপজেলার বান্দরছড়া মৌজার মরাটিলা এলাকায়।

জানা গেছে, প্রায় ৪/৫ বছর আগে মাটিরাঙ্গা উপজেলা গোমতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ব্যবাসায়ী মো: মনির হোসেন মাটিরাঙ্গা উপজেলার বান্দরছড়া মৌজার মরাটিলা এলাকায় তার নিজস্ব পাঁচ একর টিলা ভুমিতে বিভিন্ন প্রজাতির কলা বাগান সৃজন করেন। বর্তমানে বাগানে প্রায় বিশ হাজার কলা গাছ রয়েছে। যার মধ্যে ১০ হাজারের মতো গাছে ফলন দিচ্ছে। এই থেকে সপ্তাহে প্রায় ১০ হাজার টাকার কলা বিক্রি করেন বলে জানিয়েছেন বাগান মালিক আওয়ামীলীগ নেতা মো: মনির হোসেন।

তিনি জানান গত ১৮ অক্টোবর ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে চিঠি দেয় ইউপিডিএফের মাটিরাঙ্গা ইউনিট সংগঠন। নির্ধারিত সময় বেধে দিলেও তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় গতকাল রোববার রাতে তার সৃজিত বাগানের প্রায় দুই হাজারেরও বেশী বিভিন্ন প্রজাতির কলাগাছ  কেটে ফেলে ইউপিডিএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।

ঘটনার পরপরই বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবির গকুলমনি ক্যাম্প কমান্ডার ক্ষতিগ্রস্থ বাগান পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে সৃজিত বাগানের কলাগাছ কেটে ফেলায় হতাশ বাগান মালিক গোমতি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: মনির হোসেন বলেন, সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম এতো বেড়েছে যে, তারা চিঠি দিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদা দাবী করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাদের কারণেই আমার তিল তিল করে গড়ে তোলা বাগানটি আজ ক্ষদ চিহ্ন নিয়ে দাড়িয়ে আছে। তিনি সন্ত্রাসীদের অভিলম্বে গ্রেফতার করে প্রচলিত আইনে তাদের বিচার দাবী করেন।

উল্লেখ্য যে, মাত্র কয়েকদিন আগে ঈদের দিন বুধবার রাতে একই কায়দায় রামগড় উপজেলার পাতাছাড়া ইউনিয়নের পরশুরাম মৌজার পাহাড়ী এলাকায় মো: সামিউল হক এর সৃজিত আমের চারা ও কলা গাছ কেটে ফেলে উপজাতি সন্ত্রাসীরা। এসময় সন্ত্রাসীরা ফলজ গাছ কাটা ছাড়াও সন্ত্রাসীরা বাগান থেকে পানির ফাইপ, দুটি পানির ট্রাংক ও একটি জেনারেটর নিয়ে যায়।

Exit mobile version