parbattanews

মাটিরাঙ্গায় গোমতি নদী ভাঙনের হুমকির মুখে স্কুলসহ ফসলি জমি

গ্রীষ্ম শেষেই আসবে বর্ষাকাল। আর বর্ষাকাল মানেই হু হু করে বাড়বে পাহাড়ের ঝর্ণা-ঝিরির পানি। সে পানি গিয়ে পড়বে নদীতে, আর ভাঙবে নদীর পাড়। বর্ষার আগেই নদী ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতি ইউনিয়নের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গোমতি বিকে উচ্চ বিদ্যালয়।

শুধু গোমতি বিকে উচ্চ বিদ্যালয়ই নয়, গোমতি নদীল ভয়াবহ ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে মাটিরাঙ্গা-গোমতি সড়ক আর ফসলি জমি। বর্ষার আগেই ভাঙনের ভয়াবহতা থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ গোমতির সচেতন মহল।

তারা বলছেন, প্রতি বছরই বর্ষাকালে ভাঙছে গোমতি নদী। আর তার সাথে সাথে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে ফসলি জমি। নদী ভাঙন ফসলি জমি অতিক্রম করে গোমতি বিকে উচ্চ বিদ্যালয়ের দিকে আসছে। এখনই আগাম উদ্যোগ না নিলে সামনের বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের মুখে পড়বে গোমতি বিকে উচ্চ বিদ্যালয়।

সম্প্রতি ওই এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গেল বছরের ভাঙনের ফলে গোমতি বিকে উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। গোমতি নদী ভাঙতে ভাঙতে বিদ্যালয় থেকে বিশ গজ দূরে এসে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছরের বর্ষায় নদী ভাঙন গোমতি বিকে উচ্চ বিদ্যালয়কে স্পর্শ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গোমতি বিকে উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও গোমতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মনির হোসেন।

তিনি বলেন, প্রতি বছরই ভাঙছে নদী আর কমছে কৃষকের জমি। নদী ভাঙনে গোমতি নদীর পাড়ের মানুষ অনেকটাই দিশেহারা। তবে গোমতি বিকে উচ্চ বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে পড়লে এষানকার গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে। বন্ধ হয়ে যাবে লেখাপড়া। তাই তিনি ভাঙনের মুখে পড়ার আগেই নদী শাসনের মাধ্যমে ভাঙন রোধের দাবী জানিয়েছেন।

গোমতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন লিটন, গোমতি বিকে উচ্চ বিদ্যালয়সহ সড়ক ও ফসলি জমি রক্ষায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের দাবী জানিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

জানতে চাইলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম গোমতি নদীর ভাঙন রোধে সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বা দিয়ে বলেন, গোমতি নদীর পাড়জুড়ে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ রক্ষা করতে না পারলে মাটিরাঙ্গা কৃষি জমি কমে যাবে। বিদ্যালয়সহ সড়ক ও ফসলি জমি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে নদী ভাঙন রোধে প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Exit mobile version