দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রতিষেধক ভ্যাকসিন টিকা গ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মাটিরাঙ্গা ঊপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব।
উদ্বোধনের পরপরই প্রথম টিকা নিয়েছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খায়রুল আলম। এরপর দ্বিতীয় ব্যাক্তি হিসেবে টিকা নিয়েছেন মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিস ফারজানা আক্তার (ববি)। তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে মাটিরাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্নকর্মী চন্দ্রিকা ত্রিপুরা প্রথম ধাপে টিকা নিয়েছেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিস তৃলা দেব বলেন, কোন ধরণের দ্বিধা না করে সকলকে করোনার টিকা নেয়া উচিত। টিকা নেয়ার ফলে সকলে সুরক্ষিত থাকবেন। যারা টিকা নিতে আবেদন করেছেন পর্যায়ক্রমে সকলে টিকা পাবেন বলে জানান তিনি।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিস ফারজানা আক্তার (ববি) জানান, এ উপজেলায় আমি দ্বিতীয় টিকা নিয়েছি। টিকা নেয়ার অনুভূতি জানার প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি ভালই আছি কোন সমস্য হচ্ছে না। আমাদের সকলের এ টিকা নেয়া উচিত।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খায়রুল আলম বলেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলায় প্রথম কোভিড-১৯ টিকা নিয়েছি। সাধারণ টিকার মতোই অনুভূতি বোধ হয়েছে। এখনো পর্যন্ত সুস্থই আছি। সকলকে এ টিকা প্রদানের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এ টিকার বড় ধরনের কোন পাশ্ব প্রতিক্রয়া নাই।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন ১শ জন করে ১ম ডোজ টিকা ১২দিন দেয়া হবে। ১ম ডোজ টিকা প্রদানের ৪ সাপ্তাহ পর একই ব্যক্তি বাধ্যতামুলক দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে। প্রথম দিন সর্বোচ্চ ১শ পঞ্চাশ জনকে টিকা দেয়া হবে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে টিকা দেয়ার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আমাদের প্রশিক্ষিত মেডিকেল টিম রয়েছে। টিকা প্রদানের পরে কারো কোন সমস্যা হলে তা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।