মাটিরাঙ্গায় বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিমল ফাউন্ডেশনের শীতবস্ত্র বিতরণ
তীব্র শৈত্যপ্রবাহে দরিদ্র জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত পাহাড়ি জনপদে যখন শীত ঝেঁকে বসেছে, মোটা কম্বলের অভাবে হতদরিদ্র মানুষগুলো প্রচন্ড শীতের সাথে লড়াই করছে। শীতে কাবু এসব অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার পরিমল দে ফাউন্ডেশন।
প্রথমবারের মতো পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার শতাধিক হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে উষ্ণতা ছড়িয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার পরিমল দে ফাউন্ডেশন।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা অডিটোরিয়ামে ভালোবাসার উপহার হিসেবে শতাধিক শীতার্ত মানুষের মাঝে শতাধিক বিধবা, অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম।
এসময় মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিরন জয় ত্রিপুরা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার পরিমল দে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসিডেন্ট ডা.পরাগ দে উপস্থিত ছিলেন।
এমন আয়োজনের ভুয়শী প্রশংসা করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, একজন মানবিক চিকিৎসক হিসেবে ডা. পরাগ দে দীর্ঘদিন ধরে মাটিরাঙ্গার মানুষের পাশে থেকেছেন। তার এ উদ্যোগ হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে উষ্ণতা ছড়াবে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিরন জয় ত্রিপুরা বলেন, একজন মানুষ কতোটা মানবিক হতে পারেন তার অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন ডা. পরাগ দে। ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এ উপলব্ধি থেকেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এ মানবিক চিকিৎসক।
কম্বল পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে কাজীপাড়ার ষাটোর্ধ্ব মো. জসিম উদ্দিন, টিএন্ডটি টিলার মিরা মন্ডল , নতুনপাড়ার অপ্রুমা মারমা, ছনখোলা পাড়ার বনশ্রী ত্রিপুরা ও হাতিয়াপাড়ার জাহানারা বেগম বলেন, মানুষকে বিনা টাকায় চিকিৎসা দেয়ার পাশিাপাশি তিনি আমাদেরকে শীত নিবারণের জন্য কম্বল দিয়েছেন। তিনি যেন সবসময় অসহায় মানুষের পাশে থাকতে পারেন এজন্যও দোয়া করেন তারা।
কম্বল বিতরণ শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার পরিমল দে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসিডেন্ট ডা. পরাগ দে সাংবাদিকদের বলেন, আমার বাবা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছে। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই অসহায় মানুষের দাঁড়ানোর চেষ্ঠা করেছি। ভবিষ্যতে মাটিরাঙ্গার গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি চালুরও ঘোষণা দেন তিনি।