মাটিরাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার আইনে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ না দিয়েই সেগুলো বাজারজাত করার অভিযোগে এক বেকারি ও এক মিষ্টির দোকানীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালের দিকে পৃথক পৃথক অভিযানে ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৩৭ ধারা মোতাবেক দুই দোকানীকে ৩০ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনাকালে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. মিজানুর রহমান ও মাটিরাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শিপন চন্দ্র মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রতিষ্ঠিত মিষ্টি প্রস্তুত ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মধুবন ও বনফুলের প্যাকেট ব্যবহার করে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরি ও বাজারজাত করে আসছে ইকবাল নামে এক মিষ্টি প্রস্তুতকারী। একইভাবে কোন ধরনের অনুমোদন না নিয়েই বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে রহমানিয়া বেকারী। এমন খবরে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালের দিকে এ দুই প্রতিষ্ঠানে পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ।
এসময় এ দুই প্রতিষ্ঠানকে ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে ৩৭ ধারা মোতাবেক দুই দোকানীকে ৩০ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে বলেন, ভবিষ্যতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাচাই করে দেশের প্রতিষ্ঠিত মিষ্টি প্রস্তুত ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মধুবন ও বনফুলের লোগো ব্যবহৃত মোড়কে মিষ্টি ক্রয় করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।