মাটিরাঙ্গায় সশস্ত্র গ্রুপের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

fec-image

রোববার (৪ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাংগা উপজেলাধীন তবলছড়ি ইউনিয়েনের লাইফু কার্বারী পাড়া ও তাইন্দং ইউনিয়নের পংবাড়ী পাড়া নামক এলাকায় উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা চাঁদার দাবিতে এবং জোর করে জায়গা দখলের উদ্দেশ্যে ব্রাশফায়ার করে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

সন্ত্রাসীদের এ কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান  ওয়াদুদ ভূইয়া।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করেন যে,  জঙ্গলে ও জমিতে কাজ করতে যাওয়া ২০ থেকে ২৫ জন নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালি কৃষক, কচু চাষীকে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। গুলিবিদ্ধ মনির হোসেনসহ গুরুতর আহত ৫ (পাঁচ) জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এতে স্থানীয় জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক ও ত্রাসের সৃষ্টি হয়।

এমন ন্যক্কারজনক হামলার দীর্ঘ সময় পরও প্রশাসন বা নিরাপত্তা বাহিনীর কোন স্তরের লোকজনই ঘটনাস্থলে যায়নি এবং পরিস্থিতি মোকাবেলা করেনি। আহতদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি বলে স্থানীয়দের থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়। বর্তমানে ঐ এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। যার ফলে সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রাম জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চুক্তি নামক “ অসম ” চুক্তির ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে দিনদিন ক্রমাগতভাবে আইনশৃঙ্খলা চরম অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। জনমনে উদ্বেগ, উৎকন্ঠা বেড়েই চলেছে। চুক্তির পূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে শুধুমাত্র ১টি আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ছিল। কিন্তু চুক্তির পর আজ ৪টি সশস্ত্র সংগঠন সৃষ্টি হয়েছে এবং এই ৪টি সংগঠনই প্রতিযোগীতামূলকভাবে পাহাড়ে ফ্রি স্টাইলে সশস্ত্র সন্ত্রাস চালিয়ে হত্যা, নির্যাতন, চাঁদাবাজী, গুম ও অপহরণ চালিয়ে মুক্তিপনের মতো কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। যা দেখার কেউ নেই। আজকের হামলার ঘটনাটিও তারই অংশ বিশেষ।

ওয়াদুদ ভূইয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাহাড়ে এমন অবৈধ অস্ত্রের ন্যাক্কারজনক ঘটনা আর কতকাল চলবে? কতকাল পাহাড়ের মানুষ এমন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে? পাহাড়ে নিরীহ, নিরস্ত্র, অসহায় জনগণের উপর আর কত নির্যাতন নিপিড়ন চলবে?

প্রশাসন সরকারের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত অভিযোগ করে এই সাবেক এমপি বলেন, দায়হীন প্রশাসনের নতজানু নীতির কারনের সাধারণ জনগণের উপর হামলার ঘটনা একেরপর এক ঘটছে। এই ব্যার্থতার দায় সরকারের।

ওয়াদুদ ভূইয়া আরও বলেন, আমি মনে করি চুক্তি বাস্তবায়নের নামে সেনা ক্যাম্পগুলো প্রত্যাহারের ফলেই এমন অপতৎপরতা ক্রমান্নয়ে বেড়েই চলেছে। তাই আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও জনমনে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রত্যাহারকৃত সেনাবাহিনীর ক্যাম্পগুলো দ্রুত পুনঃস্থাপন এবং সেনা টহল, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোড়দারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও বাহিনী সহ সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন