নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা:
পরিবার-পরিকল্পনা অধিদপ্তর-সিএসডিপির উদ্যোগে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় প্রসব-পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনাসহ স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক এডভোকেসি সভা অনু্ষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ এডভোকেসি সভায় সভাপতিত্ব করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মিশউর রহমান।
বাংলাদেশ এনজেন্ডারহেল্থ মায়ের হাসি’র সহযোগিতায় খাগড়াছড়ি জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন।
এডভোকেসি সভায় রিসোর্স পারসন হিসেবে স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন পরিবার-পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক সুপারভাইজার ডা. শেখ মো. রোকনুদ্দিন আহমেদ, এনজেন্ডারহেলথ বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ডা. এএনএন হোসেন ইমাম, খাগড়াছড়ি জেলা পরিবার-পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব বড়ুয়া, সহকারী পরিচালক ডা. আশোতোষ চাকমা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মিসেস হাসিনা বেগম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নিটোল মনি চাকমা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সব্যসাচী নাথ রুবেল।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা সেবা জোরদারকরনে সব মহলকে ঐকবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। পরিবার পরিকল্পনার স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতিগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি না পাওয়ার অন্যতম কারণ পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনা ও ধর্মীয় কুসংস্কার উল্লেখ করে এজন্য ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়।
দিনব্যাপী এডভোকেসি সভায় সভাপতির বক্তব্যে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মিশউর রহমান সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৫ অর্জনে প্রজনন হার কাঙ্খিত পর্যায়ে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশে পরিবার-পরিকল্পনা কার্যক্রম লক্ষ্য অর্জনের পথে উল্লেখ করে বলেন, আগামী ২০৪১ সালের মধ্য দেশে কোন বাল্য বিবাহ হবেনা। বাল্য বিবাহ বন্ধ যেন বক্তব্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তবায়ন হয় সে লক্ষ্যে সকলকে কাজ করতে হবে। এজন্য তিনি ধর্মী নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত মহিলা মেম্বার, শিক্ষক-সাংবাদিক, মসজিদের ইমাম, ফার্মাসিস্ট ও পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক এবং পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাগণ দিনব্যাপী এডভোকেসি সভায় অংশগ্রহণ করেন।