মা‌টিরাঙ্গা রে‌সি‌ডে‌ন্সিয়া‌লের শিক্ষার্থী জীবনের শারীরিক অবস্থার অবনতি

fec-image

খাগড়াছ‌ড়ির মা‌টিরাঙ্গা রেসিডেন্সিয়াল স্কু‌লের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জহিরুল আলম জীবনের (১৪) শারীরিক অবস্থার অবন‌তি হওয়ায় খাগড়াছ‌ড়ি সদর হাসপাতা‌লে স্থানান্তর করা হ‌য়েছে।

বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধার দি‌কে মা‌টিরাঙ্গা হাসপাতাল থেকে তা‌কে উন্নত চি‌কিৎসার জন্য জেলা সদর স্থানান্তর করা হ‌য়েছে ব‌লে নিশ্চিত করেন কর্তব‌্যরত চি‌কিৎসক ডা. শামীম।

উ‌ল্লেখ‌্য গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শ্রেণিকক্ষে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের বা‌ড়ির কাজের প্রশ্নের উত্তর লিখতে গি‌য়ে সহপাঠীর থে‌কে দে‌খে লেখার অপরা‌ধে দুই শিক্ষার্থী জহিরুল আলম জীবন (১৪) ও কানিজ ফাতেমা বৃষ্টিকে কিল ঘু‌ষি ও বেত দি‌য়ে পিটি‌য়ে আহত করার অভিযোগ উঠে মাটিরাঙ্গা রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের সহকারী শিক্ষক মাসুদুল আলমের বিরুদ্ধে। ওই দিন আহত অবস্থায় দুই শিক্ষার্থীকে মাটিরাঙা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রা‌তে অবস্থার অবন‌তি হ‌লে কানিজ ফাতেমা বৃষ্টিকে উন্নত চি‌কিৎসার জন‌্য জেলা সদর হাসপাকা‌লে প্রেরণ করা হয়।

অপর দি‌কে জহিরুল আলম জীবনকে চি‌কিৎসা শে‌ষে মা‌টিরাঙ্গা হাসপাতাল থেকে ১ অ‌ক্টোবর বা‌ড়ি নেয়া হয়।

জানা যায়, ২ অ‌ক্টোকর বুধবার সন্ধায় হঠাৎ জীবনের বু‌কে ব‌্যথা শুরু হয়। একই সা‌থে ব‌মি ও খিচু‌নি শুরু হ‌লে প‌রিবা‌রের লোকজন মা‌টিরাঙ্গা হাসপাতা‌লে নি‌য়ে যায়। পরে অবস্থার অবন‌তি দে‌খে জেলা সদর হাসপাতা‌লে প্রেরণ করা হয় ব‌লে জানা যায়।

শিক্ষার্থী জহিরুল আলমের বড় ভাই নুরুল আলম জুয়েল বলেন, মাগ‌রি‌বেব পরপর জীব‌নের বুক ব‌্যাথা, ব‌মি ও খিচু‌নি শুরু হয়। হাসপাতা‌লে নি‌য়ে এ‌লে সদর হাসপাতা‌লে প্রেরণ করা হ‌য়ে‌ছে। এ সময় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান তিনি।

মা‌টিরাঙ্গা রেসিডেন্সিয়াল স্কু‌লের সহকারী শিক্ষক মাসুদুল আলম ব‌লেন, জীব‌নের পি‌ঠে আ‌মি এক‌টি থাপ্পর মে‌রে‌ছি। আস‌লে কেন এমন হ‌চ্ছে তা স‌ন্দে‌হের বিষয় ব‌লে জানান তি‌নি।

মাটিরাঙ্গা রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবছার হোসেন বলেন, আজ দুপু‌রের দি‌কে শিক্ষকরা সহ তা‌কে সুস্থ দে‌খে এ‌সে‌ছি। এখন কি হ‌য়ে‌ছে স‌ঠিক জা‌নেন না ব‌লে জানান তি‌নি।

মাটিরাঙ্গায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আলম বলেন, বিষয়টি তি‌নি অবগত নন। খোঁজ খবর নি‌য়ে প্রথ‌মে উন্নত চি‌কিৎসার ব‌্যবস্থা এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তি‌নি।

মাটিরাঙা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন