parbattanews

মাতারবাড়িতে স্লুইস গেইট বন্ধ ৪ বছর ধরে, হাজারও পরিবার পানিবন্দি

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর একটি উপদ্বীপ মাতারবাড়ি ইউনিয়ন। যেখানে সরকারের উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে। উন্নয়নের সুবাতাস বইলেও সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি আজোও। বর্ষা আসলে তাদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়ে যায়। ২০১৩ সালে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ হওয়ার পর থেকে জলবদ্ধতায় ভুগছে মাতারবাড়ির হাজারো পরিবার।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, মাতারবাড়ির যে সমস্ত নিচু এলাকা রয়েছে ওই সকল নিচু এলাকায় বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টির পানি চলাচলের এক মাত্র পথ ছিলো ঠিয়াকাঠি ও রাঙ্গাখালী স্লুইস গেইট। ২০১৪ সালে জমি অধিগ্রহণ শেষে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা ওই দুটি স্লুইস গেইট সহ মোট ৮টি স্লুইস গেইট বন্ধ করে দেয় ফলে প্রতি বছর বছর পানিবন্দি হয়ে জলবদ্ধতার শিকার হয়ে আসছে সাধারণ মানুষ।

এর মধ্যে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে একটি স্লুইস গেইট দিয়ে পানি চলাচলের অবস্থা করে দেয় ফলে কিছু দিন ভালো কাটে ওই এলাকার মানুষের জীবন জাপন।
চলতি বছরের ২ জুলাই থেকে শুরু হয় লাগাতার ভারি বর্ষণ ফলে আবারও পানিবন্দি হয়ে পড়ে ৮টি ওয়ার্ডের প্রায় হাজরো পরিবার। ফলে স্কুল, মাদ্রাসা থেকে শুরু করে শিশুদের শিক্ষা কার্যাক্রম চরম ভাবে ব্যাহত হয়। এদিকে র্দীঘদিন পানি জমে থাকার ফলে পানি বাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে কিছু এলাকায় এবং খাবার পানির টিউবওয়েল গুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে ফলে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

গত সোমবার সরজমিন পরির্দশনকালে দেখা যায়, কচুতলা, ফুলজানমুরা, জামাইপাড়া, বান্ডি সিকদার পাড়া, টেকপাড়া, বানিয়াকাটা, সাইটপাড়া, হন্দারবিল পুর্বপাড়া, সাইরারডেইল, লাইল্যাঘোনা বিল পাড়া, নয়াপাড়া বিশ্বপাড়া, ওয়াপদা পাড়া রাজঘাট, জালিয়া পাড়া বেড়িবাঁধ, মাইজ পাড়ার প্রায় হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

বচুতলার বাসিন্দা আব্দু রহিম বলেন, আমার বাড়িতে আমার ছেলে ও স্ত্রী অসুস্থ্য ৫দিন ধরে বাড়ির চার পাশে পানি ফলে চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে যেতে পারিনা। বেশি দিন পানি জমে থাকার ফলে বিভিন্ন ধরনের পানি বাহিত রোগ ও সাপ বাড়িতে হানা দিচ্ছে আমরা কোথায় যাবো।

পূর্ব জামাই পাড়ার বাসিন্দা মো. কাইছার বলেন, আমরা প্রতি বছর বর্ষা আসলে এভাবে পানিবন্দি হয়ে পড়ি আমরা কি পাপ করেছি, এমন নিয়তি কেনো আমাদের তায় জলের সঙ্গে বসবাস করে যাচ্ছি।

এবিষয় নিয়ে মাতারবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, মুলত স্লুইস গেইট বন্ধ করার ফলে এমন পরিস্তিতি সৃষ্টি হয়েছে আমাদের। বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত ভাবে অবহিত করেছি। বিগত বছরে আমার পরিষদের মাধ্যমে পানির নিষ্ককাশনের জন্য একটি স্লুইস গেইট স্থাপন করেছিলাম । এবছরে অতি বৃষ্টির ফলে আবারো ডুবে যায় অত্র এলাকা গুলি, সম্প্রতি সময়ে ইউএনও এলাকা পরির্দশন করে স্থানীয়দের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করে। আমরা দ্রুত এই পরিস্তিতি থেকে পরিত্রান পেতে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবো।

Exit mobile version