parbattanews

মাতারবাড়িতে সড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের খুটি; দেখার যেন কেউ নেই!

৪/৫টি বিদ্যুতের খুঁটি রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে

দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর খ্যাত কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের একমাত্র ব্যস্ততম সড়ক সিএনজি স্টেশন হইতে নতুন বাজার হয়ে আজিজিয়া মাদ্রাসা পর্যস্ত ৪/৫টি বিদ্যুতের খুঁটি রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কেউ যেন দেখার নেই।

এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন স্কুল, মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে হাজার হাজার পথচারী। এই সড়ক দিয়ে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত শত শত যান চলাচলও করে । এই সড়কের পাশেই রয়েছে মাতারবাড়ীর পুলিশ ক্যাম্প, তারাও চলাচলের জন্য ব্যবহার হরে থাকেন এই সড়কটি। এই সড়কের দু’পাশে কয়েকটি ভবনে ভাড়া থাকেন কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত দেশী বিদেশী কয়েক’শ শ্রমিক ।

এত জনগুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম সড়কের মাঝখানে ৪/৫ টি বিদ্যুতের খুটি কিভাবে থেকে যায় এটাই প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। মাতারবাড়ীবাসির অধিবাসীদের জিজ্ঞাসা কেন এই বৈদ্যুতিক খুটিগুলো রাস্তার মাঝ থেকে সরানো হচ্ছে না।

স্থানীয়দের দাবী, যদি এই বৈদ্যুতিক খুটির কারণে একটা দুর্ঘটনা হয়ে যায় এর দায় ভার কে নেবে? রাস্তার মাঝখান থেকে এই খুটি গুলো সরানোর জন্য বার বার অভিযোগ করার পরও পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা কোন পাত্তাই দিচ্ছেনা বলে জানান স্থানীরা।

সব চাইতে বিপদজনক নতুন বাজার সংলগ্ন তিন রাস্তার মোড়ে পল্লী বিদ্যুতের খুটিটি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লেখালেখি হলেও এখনো টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কিংবা পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের।

জানা গেছে অতি দ্রত উক্ত সড়কের মাঝখান থেকে খুটি সরানোর জন্য পল্লী বিদ্যুতের নিজস্ব ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পরও কোন অদৃশ্য কারনে এই বিপদজনক খুটি গুলো সরাতে কালক্ষেপন করে যাচ্ছেন এমন অভিযোগ স্থানীয়দের ।

এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ মহেশখালী জোনাল অফিসের কর্মকর্তা কাজী এমদাদুল হক থেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন , মাতারবাড়ীর রাস্তার মাঝ খান থেকে বিদ্যুতের খুটি গুলো আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই সরানো ফেলা হবে । এবং খুব দ্রত মহেশখালীতে বিপদজনক বৈদ্যুতিক খুটি গুলো অপসারন করতে কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে মহেশখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এই রকম আরো অনেক সড়কের মাঝে বিদ্যুদের খুটি রয়েছে এই খুটি দ্রুত অপসারনের জোর দাবী সচেতন মহলের।

Exit mobile version